#বর্ধমান: বাজার খোলা বন্ধে বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ায় পুজোর মুখে স্বস্তিতে বর্ধমানের ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের লকডাউন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে বাজার খোলা থাক চাইছেন তাঁরা। বর্ধমানের পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্চ মাস থেকে করোনার কারণে বিক্রিবাটা বন্ধ। অনেক কর্মচারী কাজ হারিয়েছেন। মাসের পর মাস বেতন পাননি।পুজোর বাজারের দিকে তাকিয়ে সকলেই। পুজোর বাজার জমে উঠলে কর্মচারীরাও কাজ পাবেন। তাই এখন আর বাজার খোলা বন্ধে বিধি-নিষেধ জারি না করার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাাঁরা বলছেন,পুজোর বাজারে বেচাকেনা হলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার রসদ মিলবে। তাই মালিক থেকে কর্মচারী সকলেই এই সময়টার জন্য তাকিয়ে রয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা সংক্রমণে হার জেলার সদর শহর বর্ধমানে সবচেয়ে বেশি হওয়ায় বাজার খোলা বন্ধে বিধিনিষেধ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। বাজারে ভিড় আটকাতে প্রথম দফায় বিকেল পাঁচটার পর সব দোকান বাজার বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে সেই সময় সময় কিছুটা বাড়ানো হলেও বিধি নিষেধ বজায় ছিল আগস্ট মাসের শেষ দিন পর্যন্ত। তারপর আর সেই বিধি-নিষেধ মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। তাতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেকেই।
বর্ধমান শহরের বাজারের উপর শুধু শহর বা তার আশপাশের বাসিন্দারা নন, জেলার বাসিন্দারাও নির্ভরশীল। পাশের জেলা হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া থেকেও অনেকেই বর্ধমানের পুজোর বাজার করেন। বিক্রেতারা বলছেন,অনেকে চৈত্র সেলের কথা ভেবে অনেকে পোশাক মজুত করেছিলেন। কিন্তু চৈত্র সেল শুরু হবার আগেই করোনা আবহে লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের বাজার থেকে বিয়ের মরশুম- কোনও কিছুতেই বাজার জমেনি। এখন লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে পুজোর বাজারই একমাত্র ভরসা। তাই এই সময় আর বাড়তি লকডাউন বা দোকান খোলা বন্ধে প্রশাসনিক বিধি-নিষেধ চাইছেন না তাঁরা।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ রুখতেই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus