#পশ্চিম মেদিনীপুর: বদলে যাচ্ছে সাবেক লাইব্রেরি। বই নেওয়া থেকে বই জমা। প্রযুক্তির কল্যাণে সবই এখন হাতের মুঠোয়। রিমোট একসেস ফেসিলিটিতে লাইব্রেরি না গিয়েও পড়া যাচ্ছে বই। বই জমা দিতেও দাঁড়াতে হচ্ছে না লাইনে। এই পরিষেবা মিলছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে। এটাই বর্তমানে বাংলার একমাত্র RFID এনেবেলড বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পথচলা শুরু ১৯৮৬ সালে। বর্তমানে তিরিশটি ডিপার্টমেন্ট ও সাড়ে তিনহাজার পড়ুয়া লাইব্রেরির সদস্য। রয়েছে এক লক্ষ আঠাশ হাজার বই। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় RFID বা রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন পদ্ধতি।
প্রতিটি বইয়ে লাগানো থাকছে ট্যাগ। ছাত্রছাত্রী থেকে গবেষক, সকলে নিজেরাই বই নিচ্ছেন। নিজেরাই জমা দিচ্ছেন। লাইব্রেরি না গিয়েও বই ফেরত হচ্ছে অনলাইনে। বই খুঁজতে ব্যবহার করা হচ্ছে হ্যান্ড স্ক্যানার। রয়েছে ওয়ার্ক স্টেশন। সুবিধা মিলছে রিমোট একসেস ফেসিলিটিরও।
বাংলার একমাত্র RFID এনেবেলড বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার সম্প্রতি আইআইটি খড়গপুরের ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরি অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এখন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের নথি দেখতে পাবেন অন্য জায়গার গবেষকরাও।
বই চুরি আটকাতে সতর্ক RFID। গেট দিয়ে আনঅথারাইজড বই বাইরে বেরলেই বেজে উঠবে অ্যালার্ম। নয়া প্রযুক্তি এখন অন্যদের কাছে উদাহরণ।
পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সৌমিক মজুমদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।