#বর্ধমান: এ রাজ্যের জেলায় জেলায় আজাদ হিন্দ ফৌজ ও নেতাজির নামে প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত থাকবে সেই প্রতিষ্ঠান। শনিবার বর্ধমানের কাঞ্চননগরে কাঞ্চন উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে একথা বলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বর্ধমানের কাঞ্চন নগরের কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরের মাঠে শনিবার থেকে শুরু হল এবারের কাঞ্চন উৎসব। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী ও হিন্দি সিনেমার বিশিষ্ট অভিনেতা তুষার কাপুর।
আরও পড়ুন বর্ধমানে এসে নেচে মঞ্চ মাতালেন বলি তারকা তুষার কাপুর, মহিমা চৌধুরী
এবারের কাঞ্চন উৎসব নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একশো পঁচিশতম জন্মোৎসবকে উৎসর্গ করা হয়েছে। নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবারের কাঞ্চন উৎসবের সূচনা হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই নেতাজির একশো পঁচিশতম জন্ম জন্মবার্ষিকীতে নানান কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। কলকাতার বুকে রাজারহাটে বিশাল আজাদ হিন্দ ফৌজ সৌধ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় নেতাজির নামে আজাদ হিন্দ বাহিনীর নামে কালচারাল সেন্টার তৈরি হবে। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ নজরুল সহ বিভিন্ন মনীষীদের সম্মান জানানোর কাজকে প্রাধান্য দেন। এটাই বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।এর আগে এ দিন বিকেলে বুদবুদের মানকরে নতুন অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দফতরের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী সুজিত বসু।এই কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও উপস্থিত ছিলেন। এতদিন এই এলাকায় দমকল কেন্দ্র না থাকায় উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাতেন বাসিন্দারা। এলাকায় একটি দমকল কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, এলাকায় বড় আগুন লাগলে বর্ধমান বা দুর্গাপুর থেকে আসা দমকলের ওপর নির্ভর করতে হতো। তাতে আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগে যেত। এখন এই দমকল কেন্দ্র তৈরি হওয়ায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।