#বর্ধমান: জেলার সর্বত্র নিয়ম মেনে রেশন দোকান খোলা রাখতে হবে। যথাযথভাবে গ্রাহকদের চাল চিনি সহ বরাদ্দ করা সব রেশন সামগ্রী দিতে হবে। এই নির্দেশ দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী। বর্ধমানে জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক, বিডিও, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ-সহ অনেকেই। বৈঠকে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা-সহ অনেকেই। আবেদন করেছেন অথচ রেশন কার্ড হাতে পাননি এমন ব্যক্তিরাও এই পরিস্থিতিতে রেশন পাবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
সেই বৈঠকে অনেক জায়গায় নিয়ম মেনে রেশন দোকান খোলা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। বিধায়ক, কর্মাধ্যক্ষরা ভিডিও কনফারেন্সে অভিযোগ করেন, অনেক রেশন ডিলার চাল চিনি না দিয়ে শুধু কেরোসিন দিয়ে গ্রাহকদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন। অনেক এলাকায় সপ্তাহে নির্ধারিত দিনে দোকান খোলাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ পেয়েই খাদ্য দফতরকে প্রয়োজনীয় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন জেলা শাসক। তিনি বলেন, এইসব অনিয়ম কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। সরকারের বরাদ্দ চাল চিনি আটা-সহ যাবতীয় সামগ্রী যথাযথভাবে বন্টন করতে হবে।
জন প্রতিনিধিরা বলছেন, লক ডাউন চলছে। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। অনেকের হাতে অর্থও নেই। সরকার তাই রেশনে চাল চিনি আটা সরবরাহ করছে। সেইসব খাদ্য সামগ্রীই এখন দরিদ্র বাসিন্দাদের ভরসা। কিছু কিছু অসাধু রেশন ডিলার সেসব খোলা বাজারে বিক্রি করার ফন্দি এঁটেছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, রেশনে খাদ্য সামগ্রী বন্টনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও স্হানীয় প্রশাসনকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা শাসক জানান, কেউ অভুক্ত থাক তা আমরা চাই না। তাই রেশন কার্ডের আবেদন করেছেন অথচ এখনও কার্ড হাতে পাননি এমন বাসিন্দারাও যাতে এখন রেশনের খাদ্য সামগ্রী পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।