RAJARSHI ROY
#গাইঘাটা: খোলা বাজারে বিক্রি কিংম্বা ধরা সবটাই নিষিদ্ধ কচ্ছপের ক্ষেত্রে। কিন্তু শীত এলেই সেই কচ্ছপের চাহিদা বাড়ে বাংলায়। সমুদ্র ও বিল থেকে সেই কচ্ছপ ধরে নিয়ে আসে কালো বাজারিরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সীমান্ত এলাকায় এই কচ্ছপের মাংসের ভাল চাহিদাও রয়েছে। সেই রকমই রবিবারের হাটে হানা দিয়ে কচ্ছপ বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যবসায়ী। উদ্ধার হয়েছে ৯২টি ছোট কচ্ছপ ও দু’টি বড় কচ্ছপ এবং ১১ টি কচ্ছপের খোলস।
বেশ কিছুদিন ধরে খবর আসছিল উত্তর ২৪ পরগনা বন দফতরের কাছে, গাইঘাটা থানার অন্তর্গত ধরমপুর হাটে কচ্ছপ বিক্রি করার হচ্ছে। খবরের সত্যতা যাচাই করতে বন দফতরের কর্মীরা ঘুরেও আসে হাটে। সময় মতো না যাওয়াতে হাতে নাতে বিক্রেতাদের গত বৃহস্পতিবার ধরতে পারেননি আধিকারিকরা, শুধুমাত্র রেইকিটা তাঁরা সেরে এসেছিলেন। সেই মতো গতকাল রবিবার বিকালে হানা দেন বন দফতরের কর্মীরা। গাইঘাটার ধরমপুর হাটে অভিযান চালান তাঁরা। উদ্ধার হয় ৯২টি ছোট কচ্ছপ। দু’টি বড় কচ্ছপ। হাটে কচ্ছপ বিক্রি করা অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে আটক করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। আজ ধৃত দুই ব্যক্তিসহ কচ্ছপ গুলোকে বারাসাত বনদফতর রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয় । কচ্ছপসহ ধৃত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বনদফতর।
রেঞ্জ অফিসার অসিত কুন্ডু এ দিন জানান, উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলি কোথা থেকে এরা এনেছে তা জানার জন্য অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়া দরকার। দু’টি বিশালাকার কচ্ছপ পেটকাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটি কচ্ছপের মৃত্যু হয়েছে। অপরটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তার চিকিৎসা চলছে বারাসাত প্রাণী সম্পদ বিকাশ উন্নয়ন দফতরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ছোট কচ্ছপ গুলিকে উদ্ধার করে বারাসাত রথ তলার বনদফতর রেঞ্জ অফিসের রাখা হয়েছে। কচ্ছপগুলো কোথা থেকে তারা নিয়ে এসেছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখছে বনদফতর । বন্য পশু আইন মোতাবেক ধৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে বনদফতর। আজ ধৃতদের বারাসাত আদালতে তোলা হবে।