#নদিয়া: নদিয়ার ১০ জন শ্রমিককে পেট পুরে মাংস ভাত খাইয়ে কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা করালেন উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের রানিগঞ্জের বাসিন্দা শঙ্কর পাঠক। বহুদিন বাদে পেট ভর্তি খেতে পাওয়ায় চরম আনন্দিত কোচবিহারে ১০ শ্রমিক।
মাস ছয়েক আগে কোচবিহার থেকে প্রায় ২০০ জন নদিয়ার ফুলিয়া এবং বর্ধমানের ধাত্রি গ্রামে গিয়েছিলেন তাঁতের কাজ করতে। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল।আচমকা করোনা ভাইরাসের থাবায় সারা পৃথিবী আক্রান্ত। দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। তাঁতের কাজ পুরোপুরি বন্ধ। ফলে কাজ হারিয়ে মালিকের কাছে বেশ কিছুদিন থাকার পর আর সেখানে থাকার পরিস্থতি ছিল না। এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের ভরনপোষন দিতে চাইছেন না তাঁত শিল্পের মালিকরা। লকডাউনে বন্ধ যান চলাচল। তাহলে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? তাই নিরুপায় হয়ে নদিয়ার ফুলিয়া থেকে সাইকেল চালিয়ে কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তাঁরা ।নদিয়া থেকে রওনা দেওয়ার সময় চিড়ে,মুড়ি সঙ্গে বেঁধে নিয়েছেন এই শ্রমিকরা। পেটে কিছু দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ, সোমবার তাঁরা করণদিঘি থানার দোমহনায় পৌঁছন । সেখানে শঙ্কর পাঠক নামে এক স্থানীয় ব্যাক্তি তাঁদের দেখতে পেয়ে গন্তব্যস্থল জানতে চান । সাইকেলে কোভবিহার যাচ্ছেন শুনে খাওয়া দাওয়ার খোঁজখবর নেন। সে তো খালি শুকনো চিড়ে আর মুড়ি...শুনে, শঙ্করবাবু তাঁদের প্রত্যেককে স্নান করাতে পাঠান। এরপর হাতে তুলে দেন মাস্ক । স্থানীয় একটি হোটেলে ভাত-মাংস খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। লকডাউন শুরু হওয়া থেকে পেটভর্তি কাবার জোটেনি শ্রমিকদের। এদিন মনের সুখে খেতে পেয়ে আপ্লুত তাঁরা। মন থেকে ধন্যবাদ জানান শঙ্করবাবুকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Labourers treated