#রানাঘাট: মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উদ্যোগের পর প্রথমবার চিকিৎসায় গাফিলতিতে শাস্তি। শাস্তি হল সুপার ও চিকিৎসকের। তাও আবার সরকারি হাসপাতাল। দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রীকে চিকিৎসা না করে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখে রাণাঘাট সাব-ডিভিশনাল হাসপাতাল। পরে এনআরএসে রেফার করা হলেও ওই ছাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। তদন্তে গাফিলতি প্রমাণ হওয়ায় রাণাঘাট হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ছাড়াও সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্বাস্থ্য দফতর।
গাফিলতিতে শাস্তি সরকারি হাসপাতালকে
ব্যবস্থা চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে
বদলি করা হল সুপারকে
রাণাঘাটের সরকারি হাসপাতালের ঘটনা
মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উদ্যোগের পর চিকিৎসায় গাফিলতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। রাণাঘাট সাব-ডিভিশনাল হাসপাতালের গাফিলতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হল সুপার, চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে। এক কলেজছাত্রীর মৃত্যুতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গাফিলতির
২০১৬ এর ২৪ অগস্ট ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে রাণাঘাট সাব-ডিভিশনাল হাসপাতালে ভরতি হন কলেজছাত্রী মৌমিতা কর্মকার ৷
ভর্তির পর প্রথম ৪ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা হয়নি
পরিবারের অনুরোধ সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ডাকা হয়নি
রাত সাড়ে আটটায় চিকিৎসক দেখার পর এনআরএসে রেফার করা হয়
২৫ অগস্ট ভোরে মৃত্যু হয় মৌমিতার
মৃত কলেজছাত্রীর বাবার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তদন্তেই উঠে আসে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সের গাফিলতিতেই মৌমিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এজন্য শাস্তির সুপারিশও করা হয়। ইটিভি নিউজ বাংলার হাতে সেই এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
মাথায় চোট পেলেও সিটি স্ক্যানের সুপারিশ করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ডেকে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়া হয়নি
পরিবারের অনুরোধ সত্ত্বেও কর্তব্যে গাফিলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সের
দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে দেখতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ৪ ঘণ্টা লাগল কেন, তার ব্যাখ্যা নেই
দ্রুত সিটি স্ক্যান ও চিকিৎসা হলে ওই রোগীকে বাঁচানো যেত বলে মনে করে কমিটি
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েও পায়নি রোগীর পরিবার
এই গাফিলতি প্রমাণ হতেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও সুপারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা স্বাস্থ্য সরকারের।
গাফিলতি প্রমাণ হলে ছাড় পাবে না সরকারি হাসপাতালও। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসের পরই শাস্তির খাঁড়া নামল সরকারি হাসপাতালে।