#কলকাতা: মন্ত্রিত্বের পর এবার বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন রাজীব৷ ফলে তাঁর রবিবার হাওড়ায় অমিত শাহের সভায় তাঁর বিজেপি-তে যোগদান কার্যত নিশ্চিত৷
দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল রাজীবের৷ গত ২১ জানুয়ারি বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি৷ শুভেন্দু অধিকারীর মতোই তৃণমূলের দেওয়া সমস্ত পদ ছেড়েই নতুন রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করতে চান রাজীব৷ হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক ছিলেন রাজীব৷ তাঁর শাসক দলের সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়াও সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে৷
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপের জন্য তৈরিই ছিল তৃণমূল৷ মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি অসৌজন্য়ের অভিযোগও আনেন রাজীব৷ আবার গত মঙ্গলবার জানিয়ে দেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ডোমজুড় থেকেই লড়বেন তিনি৷ ফলে তিনি যে গেরুয়া শিবিরের দিকেই পা বাড়িয়ে রেখেছেন, তা বুঝে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহল৷
রাজীবের মানভঞ্জনে অবশ্য কম চেষ্টা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের মতো দলীয় নেতারা তাঁর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন৷ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত বদলাননি রাজীব৷ ফলে রাজীবের মনোভাব বুঝে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও বন্ধ করে দেয় শাসক দল৷ এ দিন রাজীবের পদত্যাগের পর এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই পদক্ষেপের জন্য দল তৈরিই ছিল৷ এর আগে রাজীবকে ডোমজুড় থেকে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছোড়া শ্রীরামপুরের সাংসদ বুঝিয়ে দেন, এর পর রাজনীতির ময়দানেই লড়াই হবে৷