#পুরুলিয়া: গ্রীষ্মের প্রবল তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা! দক্ষিণের বিস্তীর্ণ এলাকায় দিনের পর দিন কোনও বৃষ্টি নেই! ধুঁকছে মানুষজন! তীব্র দাবদাহে পুরুলিয়া মৃত্যু হল এক মহিলার। জানা যায়, পুরুলিয়া শহরে এসেছিলেন পুঞ্চার নপাড়া গ্রামের বাসিন্দা চৈতালী মাহাতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ডাক্তার দেখাতে পুরুলিয়া শহরে আসেন। তাঁর স্বামী মনোজ মাহাতো বলেন, রোদে কিছুটা ঘুরতে হয়েছিল তাঁদের। এরপর একটি হোটেলে খাবার খেতে ঢোকেন। রোদে ঘুরে বেশ কিছুক্ষণ থেকেই শরীর খারাপ লাগছিল তাঁর স্ত্রীর। হোটেলে ঢুকতেই তিনি আচমকাই মাতিতে লুটিয়ে পড়েন । সঙ্গে সঙ্গে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাতসকালে মর্মান্তিক ঘটনা কান্দিতে, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ১ আহত ২
দিন তিনেক আগে ধূপগুড়িতে গরমের বলি হন এক মহিলা। ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন ধূপগুড়ি নেতাজি পাড়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেখা রাহা। ধূপগুড়ি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এক ওষুধের দোকানের বাইরে ছিল ডাক্তার দেখানোর লম্বা লাইন, সেখানে গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রচণ্ড গরমে সানস্ট্রোক হয়েই মৃত্যু হয়েছে রেখা রাহার।
আরও পড়ুন: রোদের তেজে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লেন, ভবঘুরে মহিলার ত্রাতা হয়ে এলেন ঘাটাল থানার ওসি
অন্যদিকে, আজ, বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার দুপুরে, চন্দ্রকোনা সড়কে ঘাটাল থানার বড়দা চৌকন এলাকায় হাঁটতে হাটতে হঠাৎ-ই রাস্তার মাঝে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এক ভবঘুরে মহিলা। সেই সময় রাস্তায় লোকজন কম-ই ছিল! কিন্তু তাও যাঁরা ছিলেন, তাঁরা মহিলাকে দেখেও এড়িয়ে যে-যাঁর মতো চলে যান! অসহায় মহিলাকে সামান্য জলটুকু দিতেও এগিয়ে আসেন না কেউ! যখন রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন মহিলা, তখন তাঁর ত্রাতা হয়ে আসেন ঘাটাল থানার ওসি। রাস্তার মাঝে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে ঘাটাল থানার ওসি দেবাংশ ভৌমিক সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কাছে ছুটে যান। প্রায় অচৈতন্য, অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই মহিলাকে দ্রুত ঘাটাল হাসপাতালে পাঠান। তাঁর চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করেন।
Indrajit Mondal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purulia