হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনায় মৃত্যু ১৫০ জনের, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ

পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনায় মৃত্যু ১৫০ জনের, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ

এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৯৮৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন

  • Last Updated :
  • Share this:

#বর্ধমান: দেড়শোয় পৌঁছে গেল পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন জেলার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই এই জেলায় এখনও অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শুধুমাত্র অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের এই দিন পর্যন্ত এই জেলায় মৃত্যু হয়েছে বিরাশি জনের। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও যথাসম্ভব বাড়িতে থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে খুব প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্কে মুখ ঢেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা জরুরি।

এদিন পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৯৮৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯১০২ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।বর্তমানে ৫৯৩ জন করানো আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিন পর্যন্ত এই জেলায় দেড়শ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন করে ৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছ,এই জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল জুলাই মাসে ৭ তারিখে। ওই মাসে মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি মাসেই সংখ্যাটা শুধুই বাড়তে থেকেছে। আগস্ট মাসে এই জেলায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।সেপ্টেম্বর মাসেও মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের। মৃতদের মধ্যে অনেকেই আবার বর্ধমান শহর এলাকার বাসিন্দা। জেলার মধ্যে এই শহরেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই সময়ের মধ্যে এই জেলায় পুলিশকর্মী স্বাস্থ্যকর্মী,চিকিৎসক থেকে শুরু করে একাধিক রাজনৈতিক নেতা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও অনেকেই। শীতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারেে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই সময় বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন  বিশেষজ্ঞরা।

Published by:Ananya Chakraborty
First published:

Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19