#শান্তিনিকেতন: বেনজজির জনরোষের সাক্ষী থাকল বিশ্বভারতী। শনিবার দিনভর চলল বিক্ষোভ আর স্লোগান। পরে উপাচার্যর বাড়িও ঘেরাও করল একদল পড়ুয়া।
এদিন বিশ্বভারতী উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, সেই সময় বিশ্বভারতীর একাংশের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। কেন আলো নেভানো হল, সে বিষয়ে ছাত্ররা যখন বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে জানতে আসেন, সেই সময়ে ছাত্রদেরকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ ।
উপস্থিত ছাত্র ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়।ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, যতক্ষণ না তাদের সঙ্গে এসে উপাচার্য পুরো বিষয় নিয়ে কথা বলবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা এই ভাবেই তার বাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন। ছাত্রদের আরও দাবি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অবিলম্বে তার পদ থেকে অব্যাহতি নিন। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য পদে বসে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের মদতে কাজ করছেন। বিশ্বভারতী জুড়ে আজকের বিশ্বভারতীর সামগ্রী যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য দায়ী বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
শনিবার দিনভর জনরোষ দেখেছে বিশ্বভারতী। পাঁচিল দিয়ে পৌষমেলার মাঠ ঘেরার সিদ্ধান্ত সর্বাত্মক প্রতিবাদের মুখে পড়ে। পে লোডার এনে ভেঙে দেওয়া হয় মেলার মূল দরজা। নৈরাজ্যের জেরে আপাতত বিশ্বভারতী বন্ধ রেখেছে কর্মসমিতী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নির্মাণের বিরোধিতা করেছন। তিনি বলেন, "বিশ্বকবি যখন এই বিশ্বভারতী তৈরি করেন তখন উদ্দেশ্য ছিল ফাঁকা জায়গায় প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলা আলোয় প্রকৃতির কোলে গাছতলয় বসন্ত উৎসব থেকে পৌষমেলায় সবই হবে।"
#IndrajitRuju