#গলসি: খাবারে ডিম থাকছে না প্রতিদিন। প্রতিবাদে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ছদিন রান্না করা খাবার দেওয়ার কথা। কিন্তু নানা অছিলায় সপ্তাহে এক-দু দিন করে রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ থাকছে। তার উপর প্রতিদিন ডিম দেওয়া হচ্ছে না। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বলছেন, এখন বাজারে ডিমের দাম সাত টাকা। ডিমের জন্য সরকারি বরাদ্দ পাঁচ টাকা। বাড়তি টাকা আসবে কোথা থেকে?
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে এই ঘটনা ঘটেছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে কর্মী ও সহায়িকাকে প্রায় ৪ ঘণ্টা আটকে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, খাবারে ডিম না দিয়ে দুদিনের জন্য নগদ দশ টাকা করে ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার জেরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, নগদ টাকা নয়। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী খিচুড়ির সঙ্গেই ডিম সিদ্ধ দিতে হবে। অভিভাবকরা ভিড় করেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের ওই কেন্দ্রে। অভিযোগ, ডিম না থাকার প্রতিবাদে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাকে সকাল নটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত তালা বন্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে ও পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী সহায়িকাদের বক্তব্য, শিশুদের রান্না করা খাবারের জন্য মাথাপিছু ন টাকা ছত্রিশ পয়সা করে বরাদ্দ। গড়ে আট টাকা৷ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য বরাদ্দ ১৩ টাকা ৭১ পয়সা। গড়ে ১২ টাকা। আসন্নপ্রসবা ও প্রসূতিদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ১১ টাকা ৯১ পয়সা। গড়ে সাড়ে নয় টাকা। এর মধ্যে রোজ রান্না করা গরম খাবারের সঙ্গে ডিম দিতেই হবে। সেই ডিমের জন্য সরকারের বরাদ্দ পাঁচ টাকা। কিন্তু এখন খুচরো বাজারে ডিমের দাম সাত টাকা। বাড়তি দু টাকা কোথা থেকে আসবে তা নিয়েই সমস্যা। খরচ সামলাতে না পেরে দু দিনের ডিমের মূল্য বাবদ পাঁচ টাকা করে মোট দশ টাকা ধরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। গোলমাল শুরু হয় তারপরই।