Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: এক কলেজ শিক্ষকের রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানে। মৃত ওই কলেজ শিক্ষকের নাম মহম্মদ আখতার হাসিনুর রহমান। তিনি বর্ধমান ওমেন্স কলেজের ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন। বর্ধমান শহরের মেঘনাদ পল্লী এলাকায় তিনি সস্ত্রীক ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। সেখানেই বুধবার সকালে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মৃত ওই শিক্ষকের স্ত্রী পলাতক। তাঁর হদিশ পাওয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে ওই শিক্ষকের বাবা মুজিবুর রহমান বৌমার ফোন পান। সেই ফোনে সুহানা তাঁকে জানান, আপনার ছেলে বাথরুমে পড়ে গিয়েছেন। মুজিবর রহমান তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তখন সুহানা তাঁকে জানান, উনি মারা গিয়েছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
সেই খবর পেয়ে স্ত্রী ও জামাইকে সঙ্গে নিয়ে বর্ধমানে আসেন মুজিবুর রহমান। ছেলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, বাইরে থেকে দরজা আটকানো। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন কলেজ শিক্ষক হাসিনুর রহমানের মৃতদেহ মেঝেতে শোয়ানো রয়েছে। মাথায় একটি তোয়ালে রাখা রয়েছে। মাথা থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে। সেখানে পৌঁছানোর পর বৌমা সুহানাকে আর দেখতে পাননি মৃত শিক্ষকের বাবা মুজিবর রহমান বা অন্যান্যরা। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, তাঁর ফোন সুইচ অফ রয়েছে। এরপরই কলেজের সহকর্মী ও বর্ধমান থানার পুলিশে খবর দেন মৃত শিক্ষকের আত্মীয়রা। সদ্য মৃত্যু হওয়া স্বামীর দেহ ফেলে রেখে স্ত্রী গা ঢাকা দেওয়ায় সন্দেহ দানা বাঁধছে।