#পূর্ব বর্ধমান: সংকটে রাজ্যের শস্যগোলার আমন চাষ। ডিভিসির ক্যানালে জলের আকাল। জল দেবে না ঝাড়খণ্ডও। তাই সংকটে পূর্ব বর্ধমান জেলার ধান চাষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্ধমানে জরুরি বৈঠক করলেন কৃষিমন্ত্রী।
রাজ্যের শস্য গোলা বলে পরিচিত বর্ধমান। এখন সেই গোলা ভরা নিয়েই আশঙ্কার কালো মেঘ। প্রায় জলশূন্য ডিভিসির ক্যানাল। ধান রুইয়ে বিপাকে কৃষকরা।
এবছর ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে তারমধ্যে ২ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর জমির চাষ সেচের জলের ওপর নির্ভরশীল। জল না পেয়ে আলগা হয়ে গিয়েছে ধান গাছের গোড়া।
তিন বছর আগেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেবার ঝাড়খণ্ড সরকার জল দেওয়ায় আমন চাষ বেঁচে যায়। এবার পড়শি রাজ্যও বেঁকে বসায়, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সমস্যা মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার কৃষি ও সেচ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেমন--
-শুক্রবার থেকে তিন দিন ডিভিসি জল দেবে
-পুকুর, ডোবা-সহ জলাশয় বাঁচানোর উদ্যোগ
-নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল তুলে সেচের ব্যবস্থা হবে
-সাবমার্সিবল চালাতে ফের সংযোগ দেবে বিদ্যুৎ দফতর
-রাইস মিলগুলির কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে
আমন চাষের ফাঁড়া কাটাতে একগুচ্ছ দাওয়াই দিয়েছে প্রশাসন। তবে ডিভিসির সাম্যান্য জলে কতটা সংকট মিটবে, তা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা।
বর্ধমান থেকে ক্যামেরায় সন্দীপ পালের সঙ্গে শরদিন্দু ঘোষ