#বর্ধমান: শুক্রবারও পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেশিরভাগ বেসরকারি বাস পথে নামল না। জেলার সদর শহর বর্ধমানের দুটি বাস স্ট্যান্ড থেকে এদিন বেসরকারি বাস চলেনি। রায়না খণ্ডঘোষ-সহ দক্ষিণ দামোদর এলাকায় বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুর, আসানসোলের মধ্যে বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
কাটোয়া মহকুমাতেও এ দিন বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কালনা বাস স্ট্যান্ড থেকে হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলেছে। সোমবারের আগে বাস চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বাস মালিকরা। জেলায় বেসরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক করতে মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক বিজয় ভারতী।
জেলার সদর শহর বর্ধমান থেকে জেলার অন্যান্য অংশ ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর মধ্যে ৬০০ বেশি বাস চলাচল করে। সেই সব বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। মূলত যাত্রী না হওয়ার আশঙ্কার জন্যই রাস্তায় বাস নামছে না বলে জানিয়েছেন বাস মালিকরা। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারা এখনও সেভাবে বাইরে যেতে চাইছেন না। সে কারণেই বাসিন্দাদের মধ্যে এখনও সেভাবে বাসের চাহিদা তৈরি হয়নি। সোমবার থেকে সরকারি অফিস খুলবে। তার ফলে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সোমবার থেকে রাস্তায় বেসরকারি বাসের দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন বর্ধমানের বাস মালিকরা।
জেলার মহকুমা শহর কাটোয়া থেকে আজও বেসরকারি বাস পথে নামেনি। ইতিমধ্যেই কাটোয়ার বাস মালিকরা পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে দাবি পত্র পাঠিয়েছে। তাতে তারা জানিয়েছে, প্রশাসনকে বাস স্যানিটাইজ করে দিতে হবে, বাসচালক ও কর্মীদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিমার আওতায় আনতে হবে এবং আড়াই মাস লকডাউনের সময়কালে বাসের ট্যাক্স ও ফিটনেসের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় জরিমানা আদায় করা যাবে না। এই তিন দাবি মানা হলে তারা পুরনো ভাড়াতেই বাস চালাতে রাজি বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কাটোয়ায় আগামী কালের মধ্যে ২১টি বিশেষ ট্রেন ঢুকবে। সেইসব ট্রেনের যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কাটোয়া বাস স্ট্যান্ড ব্যবহার করছে প্রশাসন। তাই সোমবারের আগে কাটোয়ায় বেসরকারি বাস চলাচল শুরু হবে না বলেই জানিয়েছেন বাস মালিকরা।
শরদিন্দু ঘোষ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bus service, Private bus, Purba bardhaman