#বর্ধমান: মুরগির মাংসের দাম পৌঁছে গেল কেজি প্রতি দুশো টাকায়! বর্ধমানে অনেক জায়গাতেই আকাশ ছোঁয়া মুরগির মাংসের দাম। খামারগুলি ক্রমশ মুরগি শূন্য হয়ে পড়ছে। তার জন্যই দাম বাড়ছে মুরগির/করোনা মাংসের। দু চারদিন পর মুরগির মাংস আর পাওয়াই যাবে না বলে জানাচ্ছেন মুরগির মাংস বিক্রেতারা। বর্ধমানে অনেক মুরগির দোকানেরই ঝাঁপ বন্ধ। যে কটি দোকান খোলা রয়েছে সেখানেও মুরগি রয়েছে হাতে গোনা। আবার একুশ দিন লক ডাউন চলায় অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে মুরগির মাংসেরও। অনেকে এখন মাংস কিনে ফ্রিজে ভরতে চাইছেন। সব মিলিয়ে দাম চড়া মুরগির মাংসের।
মুরগির মাংস থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় এই গুজবে মাস খানেক আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় মুরগির মাংস বিক্রি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। অনেকেই মুরগির মাংসের দোকান দেখলে মুখ ঘুরিয়ে উলটো মুখে হাঁটছিলেন। কাটা মুরগির মাংসের দাম কেজি প্রতি একশো আশি টাকা থেকে এক ধাক্কায় নব্বই টাকায় নেমে যায়। তাও কেনার খদ্দের ছিল না। কয়েক দিন আগেও একশো টাকায় পাঁচটা গোটা মুরগি বিক্রি হয়েছে। গাড়িতে মুরগি বোঝাই করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে নতুন করে খামারে মুরগি না তুলে খামার ফাঁকা করতেই ব্যস্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা।
মুরগির মাংস বিক্রির সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, লক ডাউনের জন্য মুরগির খাবারের জোগান নেই। তার ওপর অনেকেই লোকসান কমাতে মুরগির খাবার তোলেননি। খাবারের অভাবে অনেক মুরগি মরে গিয়েছে। মরা মুরগি ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা লোকসান করে জলের দরে মুরগি বিক্রি করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে মুরগির ভাঁড়ার শূন্য। তাই যেটুকু রয়েছে তার দাম আকাশ ছোঁয়া। তবে দাম দিয়েও আপাতত সব স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মুরগির মাংস মিলবে না বলেই মত বিক্রেতাদের। পাড়ার মোড়ে মোড়ে বেশির ভাগ মুরগির মাংসের দোকানেরই ঝাঁপ বন্ধ। অনেকেই করোনা ঠেকাতে বাড়িতে থাকছেন। বাকিদের দোকান বন্ধ মুরগির অভাবে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chicken, Coronavirus, Lockdown