#কলকাতা: লকডাউনে আলু বেচে লক্ষ্মী লাভ৷ খুশী চাষীরা৷ গত কয়েকবছর এই সময়টা বাজারে জ্যোতি, চন্দ্রমুখী, সুপারসিক্স, পোখরাজ, হেমাঙ্গিনীদের বাজারে সেভাবে কদর না থাকলেও এই বছর লকডাউনের জেরে তাদের কদর একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এমনকি অন্যবারে এইসময়টা কোল্ড স্টোরেজে ঠান্ডায় একটু স্বস্তিতে থাকলেও এবারে আর সেইটা হয়ে ওঠেনি। জমি থেকে বস্তা বন্দী হয়ে সোজা বাজারে আর তারপরে হাত ঘুরে গৃহস্থের ঘরে।
অবশ্য জ্যোতি চন্দ্রমূখী বা পোখরাজ সব বিভিন্ন প্রজাতির আলু। আর লকডাউনের এই বাজারে অন্যান্য সবজির থেকে চড়া দামে বিকিয়েছে এইসব আলু যার ফলে লকডাউনের বাজারে আলু বেচে লক্ষ্মী লাভ হওয়ায় খুশী আলু চাষীরা। হাওড়া জেলার যেসব জায়গায় আলু চাষ হয় তার মধ্যে উদয়নারায়ণপুর ব্লক অন্যতম। ব্লকের ১৬টি অঞ্চলের প্রায় ৪১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হলেও এই বছর বৃষ্টির কারণে প্রায় ৩৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। তবে যেটুকু জমিতে আলু চাষ হয়েছে সেই আলু বাজারে বিক্রি করে খুশী আলু চাষীরা।
আরও পড়ুন আর ভিন রাজ্যে কাজ নয়, এবার পাকাপাকি ভাবে রাজ্যেই থাকবেন বলে মত স্পেশ্যাল ট্রেনে ফেরা শ্রমিকদের
আলু চাষীদের মতে অন্যান্য বছরে এইসময়টা সেভাবে আলুর দাম না পাওয়া গেলেও এবারে লকডাউনের জেরে বাজারে আলুর চাহিদা একলাফে অনেটাই বেড়ে যাওয়ায় আলুর ভাল দাম পাওয়া গিয়েছে। আলুর ভাল দাম পাওয়া প্রসঙ্গে প্রতাপচকের বাসিন্দা অনন্ত জানা জানান, এটা ঠিক অন্যবারে এইসময় আলুর দাম সেভাবে পাওয়া না গেলেও এবারে যে দামটা পাওয়া গিয়েছে তাতে সব চাষীই লাভবান হয়েছে। অন্যদিকে কালিদাস জানা জানান, এবারে নাকি বর্ষার কারণে অনেক চাষী সেভাবে চাষ করতে না পারায় তাদের মধ্যে একটা আশঙ্কা ছিল৷ তবে যেভাবে বাজারে দাম পাওয়া গিয়েছে তাতে প্রত্যেকেই খুশী।
তবে প্রত্যেকে আলু চাষীদের মতে লক ডাউনের বাজারে বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ দেওয়ার জন্য আলুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আলুর ভালো দাম পাওয়া গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা গৌতম সামুই জানান এই বছর বৃষ্টির কারণে ব্লকে কিছুটা আলু চাষ কম হলেও যে দাম পেয়েছে চাষীরা তাতে তারা খুশী। এমনকি বর্তমান বাজারে আলু চাষীরা যে দাম পেয়েছে সেটা দীর্ঘ কয়েকবছর তারা পায়নি বলেও জানান তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।