খেজুরি: সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজনের এখন দিন কাটছে চরম আতঙ্কে! সমুদ্র বাঁধে ভাঙনে ঘুম উড়েছে তাঁদের। সমুদ্রের গ্রাসে তলিয়ে না যায় খেজুরির প্রাচীন ইতিহাসের অমূল্য সব সাক্ষী স্থাপত্য আর নিদর্শনগুলি!
আসলে খেজুরির এইসব উপকুলবর্তী অঞ্চল জুড়ে সমুদ্র ভাঙনে বিরতি নেই। লকডাউনে সব কিছু থমকে গেলেও, সমুদ্র বাঁধের ভাঙন অনবরত চলছে৷ প্রতিদিনই একটু একটু করে গ্রাস করে চলেছে সমুদ্র। যেখানে মাটি কামড়ে থাকা ঝাউ গাছগুলিও ধীরে ধীরে সমুদ্রের গ্রাসে চলে যাচ্ছে। সমুদ্রের সেই আগ্রাসনের ছবি ধরা পড়ছে খেজুরির উপকূল এলাকায়।
খেজুরির পাশাপাশি নন্দীগ্রামের উপকূলের এলাকার ছবিটাও প্রায় একই। যেখানে হুগলি নদীর মোহনার বড় অংশের কয়েক কিলোমিটার নদীবাঁধের অবস্থাও বেশ বিপজ্জনক। অমাবস্যার কোটাল বা নিম্নচাপের কারণে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হলেই আতঙ্কে থাকেন এইসব সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় ঝাউ গাছ ও ভেটিবারী ঘাস লাগিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। কখনও বুলবুল, কখনও ফনী বা কখনও আমফান ঝড়, এক একটা দুর্যোগ আসে, আর সমুদ্র তীরবর্তী বনসৃজনকে ধংস করে চলে যাচ্ছে। ফলে সমুদ্র উপকূলের ক্ষয় আটকানোই যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুধু বনসৃজন নয়, দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক। ইতিমধ্যে সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে আনুমানিক ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচুরিয়া এলাকায় বাঁধ দেওয়ার কাজ চলছে। নির্মীয়মান সেই বাঁধের দিকেই তাকিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকিয়ে খেজুরি ও নন্দীগ্রামের উপকূল এলাকার মানুষজন।
SUJIT BHOUMIK
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Khejuri