নওদার ঢাল : আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। তাদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্ধমান-রামপুরহাট শাখার নওদার ঢাল স্টেশন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে সিআইডি (CID)। ধৃতদের নাম মতিয়ার রহমান সেখ ওরফে কাজল সেখ ও উত্তম কুমার পণ্ডিত। এই ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মঙ্গলবার তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
বিজেপির দাবি, ধৃতদের মধ্যে একজন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা এবং আর এক জন স্থানীয় তৃণমূলকর্মী। অভিযোগ, দুষ্কর্মের জন্যই তারা আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রেখেছিল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের জেলা নেতৃত্বের দাবি তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন : স্কুলে ক্লাসরুমে মোবাইল ফোনে নাচানাচি শ্যুট, নোটিশ দিয়ে মোবাইল ফোন আনা বারণ করল স্কুল
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে তারা ট্রেন থেকে নেমে ঘোরাঘুরি করছিল। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি তাদের গ্রেপ্তার করে।তাদের কাছে উদ্ধার হয় তিনটে আগ্নেয়াস্ত্র।
আরও পড়ুন : ধান ক্ষেতে লুকিয়ে বাঘ? মিলল পায়ের ছাপ, সাতসকালে আতঙ্ক কুলতলিতে
কী কারণে তারা আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রেখেছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় জোর জল্পনা চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অন্যতম জেলা সম্পাদক শ্যামল রায় বলেন, ‘‘ ধৃতদের এক জন অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি ও আর একজন তৃণমূলকর্মী। এরা দিনে শাসক দলের পতাকা ধরে রাজনীতি করে ও রাতে দুষ্কৃতীমূলক কাজ করে। এটাই বর্তমানে শাসক দলের আসল চেহারা। পুরভোট যত এগিয়ে আসবে, তত বোমা বন্দুক কার্তুজ পাওয়া যাবে।’’
আরও পড়ুন : বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজোর মধ্য দিয়ে সূচনা হল নবান্ন উৎসবের
অন্যদিকে, ধৃতরা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী নয় দাবি করে আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সালেক রহমান বলেন, ‘‘আগে ওরা তৃণমূল করত। তৃণমূল থেকে অনেক আগেই ওদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওরা তৃণমূলের কেউ নয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।