#বর্ধমান: ডাকাতির উদ্দেশ্যে জাতীয় সড়কের ধারে জমা হয়েছিল তারা। প্রত্যেকের হাতেই ছিল ভোজালি, লোহার রড সহ ডাকাতির নানান সরঞ্জাম।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যায় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে ডাকাতির আগেই তাদের ধরে ফেলতে সমর্থ হলো পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে জাতীয় সড়ক টু বি থেকে তাদের বামাল গ্রেফতার করা হয়। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে শীতের রাতে তারা ডাকাতির ছক কষেছিল বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বর্ধমান থানা এলাকায়। আউশগ্রামের গুসকরায় রাস্তায় ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই মতো তারা গভীর রাতে ফাঁকা জায়গায় এনএইচ টু বির পাশে জমায়েত হয়েছিল।পুলিশের টহলদারি জিপ তাদের কাছে পৌঁছলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তবে পিছু ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলা সম্ভব হয়।
শীতের সময় গভীর রাতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে লুটপাট ছিনতাই ডাকাতির ঘটনা ফি বছর ঘটে থাকে। তাই এবার বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। ডাকাতির সম্ভবনা রয়েছে এমন এলাকাগুলিতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। সেই পদক্ষেপের জন্য আউশগ্রামে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গভীর রাতে জড়ো হওয়া সাত দুষ্কৃতীকে ধরা সম্ভব হলো বলে দাবি করছে পুলিশ।
আউশগ্রামের হামিরপুর শ্মশানের কাছে বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম হাবল দাস, কার্ত্তিক দাস, বিজয় দাস, রবি দাস,ছোটন দাস, তপন দাস,এঞ্জেল তিরকে।সকলেরই বয়স কুড়ি বাইশ বছর।পুলিশ জানিয়েছে, এদের প্রত্যেকের বাড়ি বর্ধমান থানা এলাকায়।
ধৃতদের কাছ থেকে ভোজালি, লোহার রড,লাইলন দড়ি ,লঙ্কার গুঁড়ো সহ বেশকিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এন এইচ টু বির ধারে হামিরপুর শ্মশান মোড়ে হানা দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের কাছাকাছি যেতেই ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাড়া করে সাত জনকে ধরে ফেলে ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ওই এলাকায় জমায়েত হওয়ার কথা তারা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়।তাঁদের মধ্যে হাবল দাস, কার্ত্তিক দাস ও তপন দাস এই তিন জন কে তিনজনকে দশ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয় । বিচারক ওই তিন জনের পাঁচ দিন পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেন।বাকি চার জনের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
Saradindu Ghosh