#বর্ধমান: বাসে উঠে মাক্স না পরা যাত্রীদের চিহ্নিত করলেন পুলিশের কর্মী অফিসাররা। এরপর তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল মাস্ক। সেই মাস্ক যাত্রীরা মুখে লাগানোর পর সেখান থেকে সরলো পুলিশ। শুধু হাতে মাস্ক তুলে দেওয়াই নয়, এই করোনা আবহে ঘরে বাইরে সেই মাস্ক মুখে লাগানো অভ্যাসে পরিণত করার পরামর্শ দিলেন পুলিশের কর্মী অফিসাররা। বর্ধমান শহরে শনিবার দিনভর এই ভূমিকায় দেখা গেল পুলিশকে।
লকডাউন পর্ব কাটিয়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক বর্ধমান শহর। দোকান। বাজার খুলেছে। শুরু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস চলাচল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই এখন নানা প্রয়োজনে জেলা সদর শহর বর্ধমানে আসছেন। তবে অনেকের মধ্যেই এখনও সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে। অনেকেই রাস্তায় বের হচ্ছেন মুখে মাস্ক না পরেই। তাদের মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতন করে তুলতেই দিনভর পদক্ষেপ চালালো জেলা পুলিশ।
এদিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই জন্য বর্ধমান রেল স্টেশন চত্বরে বিশেষ শিবির তৈরি করা হয়। সেখান থেকে পথচলতি বাসিন্দা, টোটো চালকদের মাস্ক দেওয়া হয়। হাতে স্যানিটাইজার ঢেলে তাদের পরিচ্ছন্নতার বার্তা দেওয়া হয়। বর্ধমান থানার পুলিশ কর্মী অফিসাররা রাস্তায় বাইক চালক, টোটো চালকদের ওপর নজরদারি চালান। মুখে মুখোশ দেখতে না পেলেই দাঁড় করান সেইসব বাসিন্দাদের। এরপর তাঁদের হাতে স্যানিটাইজার ঢালা হয়। হাত পরিষ্কার করিয়ে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক।
বর্ধমানের ডেপুটি পুলিশ সুপার সৌভিক পাত্র বলেন, এই করোনা আবহে বাসিন্দাদের সচেতন থাকা জরুরি। দেশে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমাদের জেলা ও রাজ্যেও প্রতিদিন আক্রান্তের হদিশ মিলছে। তাই বাইরে বের হলে সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। সেই সঙ্গে মুখে মাস্ক পরতে হবে। বারে বারে স্যানিটাইজারে বা সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া জরুরি। সেই বার্তা দিতেই এই কর্মসূচি।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।