#বর্ধমান: বারবার সচেতন করেও কাজ হয়নি। লকডাউন উপেক্ষা করে ঘুরে বেড়ানো অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের একাংশের। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াই নানা অজুহাতে সাইকেল, মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। তাদের উচিত শিক্ষা দিতে এবার পথে নামল পুলিশ। বর্ধমানের বীরহাটা, কার্জন গেট সহ বর্ধমান শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে এদিন অভিযান চালায় পুলিশ। লকডাউন উপেক্ষা করে বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
লক ডাউনের প্রথম দু’দিন শুনশান ছিল বর্ধমান। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে ততই রাস্তায় পুরুষ মহিলার সংখ্যা বাড়ছে। কেউ প্রতিদিন সবজি বাজারে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বেরোচ্ছেন ওষুধের খোঁজে। আবার অনেকে বেরোচ্ছেন নানান অছিলায়। বিকেলে মোটর সাইকেলে হাওয়া খেতেও বের হচ্ছেন কেউ কেউ। গৃহবন্দি থাকা সচেতন বাসিন্দারা এর জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ি করছেন। তাঁরা বলছেন, লকডাউন শুরু হতেই লাঠি হাতে পুলিশ রাস্তায় নেমেছিল। জি টি রোডে ব্যারিকেড দিয়ে পথ চলতি পুরুষ মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল। এলাকায় এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। পুলিশের ভয়ে অনেকে ঘরে ঢুকছিলেন। সেই রাশ আলগা হতেই রাস্তায় বের হওয়া বাসিন্দার সংখ্যা বাড়ছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই অবশ্য জি টি রোডে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন পুলিশ অফিসাররা বর্ধমানের কার্জন গেট, বীরহাটা, পার্কাস রোডে বাড়তি নজরদারি চালায়। বাসিন্দাদের ধরে ধরে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। অনেকে যথাযথ কারণ দেখাতে পারেননি। অনেকে বেরিয়েছিলেন লকডাউন দেখতে। তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শহরে ঢোকার মুখগুলিতেও নজরদারি বাড়ানো হয়। পুলিশের এই তৎপরতায় খুশি নিজেদের গৃহবন্দি রাখা বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, বেশির ভাগ বাসিন্দা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের গৃহবন্দি রাখলেও কিছু মানুষ অহেতুক বাইরে বেরিয়ে সব প্রচেষ্টা বানচাল করতে চাইছে। শুধু রাস্তায় নয়, এদের ঘর ঢোকাতে পুলিশের এলাকায় এলাকায় টহল দেওয়া উচিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Corona Virus, COVID-19, Lockdown