#বর্ধমান: গ্যাস চুল্লি দীর্ঘদিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে বর্ধমান শহরের নির্মল ঝিল শ্মশানে মৃতদেহের সৎকার করতে গিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। দীর্ঘ বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর তবেই শব দাহ করার সুযোগ মিলছে। এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে অবিলম্বে চুল্লি সারানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
বর্ধমান শহরে শবদাহের জন্য শ্মশান রয়েছে একটি। এই নির্মল ঝিল শ্মশানেই শহরের পঁয়ত্রিশটি ওয়ার্ডের মৃতদেহ সৎকার করা হয়। শহরের আশপাশের গ্রামীণ এলাকা থেকেও প্রচুর সংখ্যক মৃতদেহ এই শ্মশানে নিয়ে আসা হয়।এখন এই করোনা পরিস্থিতিতে দূরবর্তী এলাকা থেকেও এই শ্মশানে প্রচুর সংখ্যক মৃতদেহ আসছে। এই শ্মশানেই আবার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত পুরুষ-মহিলাদের প্রশাসনের উদ্যোগে দাহ করার কাজ চলছে। সেজন্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই শ্মশানে অন্যান্য মৃতদেহ দাহ করা বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাতে সৎকার বন্ধ থাকায় সকাল থেকে মৃতদেহের দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে। এই শ্মশানে এক এক সময়ে ষোলটি আঠারোটি পর্যন্ত মৃতদেহ জমে যাচ্ছে। সকালে দাহ করতে মৃতদেহ নিয়ে এসে শব যাত্রীরা কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছেন সন্ধের পর।
বর্ধমানের নির্মল ঝিল শ্মশানে আগে কাঠের চুল্লিতে শব দাহ করা হতো।পরবর্তী সময়ে সেখানে একটি গ্যাস চুল্লি স্থাপন করা হয়।বর্তমানে সেখানে একটি ইলেকট্রিক চুল্লিও রয়েছে। কিন্তু শুরুর সময় থেকেই বারে বারে বিকল হয়েছে গ্যাস চুল্লি। বর্তমানে আট মাসেরও বেশি সময় গ্যাস চুল্লি বন্ধ। বাসিন্দারা বলছেন, অনেক সময় ইলেকট্রিক চুল্লিতে বিশাল লাইন পড়ে যায়। তখন কাঠ কিনে এনে শব দাহ করতে নাজেহাল হতে হয়। এই করোনা পরিস্থিতিতে ইলেকট্রিক চুল্লির পাশাপাশি গ্যাস চুল্লি সচল থাকলে শব দাহের কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হয়। এই পরিস্থিতির কথা বিচার করে অবিলম্বে গ্যাস চুল্লি সারানোর ব্যবস্থা করুক পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে বর্ধমান পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গ্যাস চুল্লি বন্ধ রয়েছে। তা মেরামতের কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই চুল্লি কাজ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Electric Furnaces