#জয়নগর: তিনদিন। দু-রাত অপেক্ষা। শীত উপেক্ষা করে কোলের শিশু নিয়ে গায়ে চাদর জড়িয়ে ঠায় বসে রোকেয়া, মনসুরারা। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম...আপাতত সব ফুটপাথেই। আধারকার্ড তৈরি করতে এভাবেই জয়নগর -মজিলপুর ডাকঘরের সামনে হত্যে দিয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।
কেউ নতুন আধারকার্ড তৈরি করাতে চান। কেউ চান সংশোধনী। তার জন্যই রবিবার থেকে লাইনে আট থেকে আশি। অপেক্ষা , সকাল দশটা কখন বাজবে। তখন হাতে মিলবে কুপন। তারপর, ফের অপেক্ষা। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে আধারকার্ড তৈরি ও সংশোধনীর কাজ।
আধার কার্ড সংশোধন ও নতুন কার্ড তৈরির কাজ চলছে জয়নগর-মজিলপুর ডাকঘরে। তবে দিনে দশটার বেশি নয়। তাই শীত উপেক্ষা করেই রাতভর লাইনে জয়নগর, মজিলপুরের বাসিন্দারা। আপাতত সংসার ডাকঘরের উল্টোদিকের বন্ধ দোকানের ছাউনি।
লাইনে যাঁরা একটু পিছনের দিকে, তাঁদের ভাগ্যে সেদিন আর শিকে ছিঁড়ছে না । পোস্ট মাস্টারের দাবি, কাজের জন্য বাড়তি কর্মী নেই। ডাকঘরের কাজ সেরে , আধারের কাজ করতে হচ্ছে ডাককর্মীদেরই।
CAA-NRC নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক। পরিচয়পত্র ঠিকঠাক না থাকলে দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কায় রাত জাগছে জয়নগর, মজিলপুর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।