#বর্ধমান: পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ির উৎসবে দিনভর মেতে থাকলেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। কাঙ্খিত শীত ফিরে এসেছে। শনশনে উত্তুরে হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে চলল ঘুড়ির কাটাকুটি খেলা। পৌষ সংক্রান্তিতে এই উৎসব ঘুড়ির মেলা নামে পরিচিত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির ছাদে ঘুড়ি লাটাই নিয়ে মেতে রইলেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা।থেকে থেকে আওয়াজ উঠলো ভোকাট্টা। অন্যান্য অনেক জায়গায় বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো হয়। কিন্তু বর্ধমান শহরবাসী ঘুড়ির মেলায় মেতে ওঠেন এই মকর সংক্রান্তিতে। রাজ আমল থেকে বর্ধমান শহরে এই প্রথা চলে আসছে।
বর্ধমানের মহারাজ মহাতাব চাঁদের ছিল ঘুড়ি ওড়ানোর সখ। দেশ-বিদেশ থেকে নানা রঙের, নানা আকারের ঘুড়ি আনাতেন মহাতাব চাঁদ। কারিগরদের নিয়ে এসে ঘুড়ি তৈরি করানো হতো রাজবাড়িতে। পৌষ সংক্রান্তির সকাল থেকে রাজবাড়ির ছাদে সপারিষদ ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দে মেতে উঠতেন বর্ধমানের মহারাজা মহাতাব চাঁদ। বন্ধু রাজা জমিদারদের আমন্ত্রণ জানানো হত। সারাদিন ধরে চলত খানাপিনার সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানো। রাজা বা সেই রাজ আমল না থাক রয়েছে রাজবাড়ি। ঘুড়ি ওড়ানোর সেই প্রথা আজও পুরোমাত্রায় বজায় রয়েছে বর্ধমান শহরে।
রাজার শুরু করা সেই প্রথা আজও পুরোমাত্রায় বজায় রয়েছে বর্ধমান শহরে। সকাল থেকে বর্ধমানের বাসিন্দারা ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়ানোয় মেতে থাকেন। এদিন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দিনভর চলল ছাদে রান্নাবান্না, পিকনিক। কনকনে ঠাণ্ডায় মিষ্টি রোদ পিঠে নিয়ে খেঁজুর গুড়ের সঙ্গে পিঠে পুলি তো ছিলই, তার সঙ্গেই ছিল ঘুড়ি ওড়ানো। থেকে থেকে আওয়াজ উঠল ভোকাট্টা।সব মিলিয়ে নিউ নর্মালে পৌষ পার্বণের যাবতীয় আনন্দ উপভোগ করলেন বর্ধমানের বাসিন্দারা। জমাটি শীত ছিলই, একটাই প্রার্থনা ছিল হাওয়া বয়ে যাক মৃদু লয়ে। হাওয়া বইলে ঘুড়ি ওড়ানোর মজা বাড়ে অনেকটাই। সেই হাওয়ায় ঘুড়ি উড়ল তরতরিয়ে।
SARADINDU GHOSH