#কলকাতা: ২৭ শে সেপ্টেম্বর দিনটি সারা বিশ্বজুড়েই পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসেবে। চলতি বছর তা কেবল ম্রিয়মাণ নয়, পুরোপুরি হতাশারও। কারন করোনা। কারন পর্যটনশিল্প আজ চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন। কোভিড 19 এমনিতেই মানব জাতিকে প্রবল সংকটে ফেলেছে। গত প্রায় সাত মাস সময় থমকে গেছে জনজীবনের যা কিছু। বাদ যায়নি পর্যটন শিল্পও। লজ-হোটেলের মালিক থেকে কর্মী, ট্যুর পরিবহনে নানা রকম যানবাহনের মালিক-চালক-কর্মী, বিভিন্ন পর্যটক সংস্থা থেকে ট্রেন বাস প্লেনের সাথে যুক্ত ব্যক্তি , ভ্রমণে নির্ভরশীল অগনিত মানুষ এই সাত মাসের অচলাবস্থায় পড়ে অনিশ্চিত ও অন্ধকার ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু এসবের মধ্যেই ভালোর ভাবনা মাথায় নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটের ১৫ জন ভ্রমণপ্রেমী যুবক রূপনারায়নের পাড় থেকে দীঘার সৈকত পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ও বিভিন্ন সৈকতে আবার ভ্রমণ শুরু করার আবেদন নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। ব্যানার, প্লাকার্ড, হ্যান্ডমাইক ও প্রচারপত্র বিতরনের মাধ্যমে পথসভা ও একাধিক সৈকত পরিক্রমার মাধ্যমে তাঁরা আবেদন করছেন, কোভিড ১৯-র সবরকম সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট ছোট গ্রুপে কম দুরত্বের মধ্যে ভ্রমণসূচি শুরু হোক। আসলে আবেদনকারী এইসব উদ্যোগী যুবকদের কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কেউ বেসরকারি চাকরি করেন কেউ গৃহশিক্ষকতা কেউ কেউ আবার ফটোগ্রাফার এবং গ্রাফিক্সের কাজে যুক্ত। এরা সবাই সময় সুযোগমত প্রতি বছরই পরিচিতদের নিয়ে দলবেঁধে ভালোলাগা আর শখেই নানা ট্যুর সংগঠিত করতেন। নিজেরাও সপরিবারে ঘুরতে যেতেন। আয়োজকদেরই একজন ভ্রমণপ্রেমী সুকল্যান ব্যানার্জী জানান 'পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত অগনিত মানুষ জীবন জীবিকার প্রশ্নে আজ ঘোর সংকটে। তাদের দাবি, টানা সাত মাস ঘরবন্দী দশায় ছোট থেকে বড় সব বয়সের মানুষই অবসাদে ভুগছেন। আমরা বিশ্ব পর্যটন দিবসকে সামনে রেখে দুদিনের এই প্রচারে এই আবেদনই করছি যে, করোনা বিষয়ক সব ধরনের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোট ছোট গ্রুপে পরিবারের মতো করে আবার ভ্রমণ শুরু করতে চাই। দ্রুত না হলেও আস্তে আস্তে পর্যটনশিল্প আবার সচল হোক। আমরা সবাই যেন আবার বেড়াতে যেতে পারি।' এই দলটি আজ সকাল সাতটায় কোলাঘাটে প্রচার শুরু করে মেছেদা , রাধামনি, নন্দকুমার, মান্দামনি , শঙ্করপুর প্রচার করে দীঘা সৈকতে পৌচেছে। আজ বিকাল এবং সন্ধ্যায় জেলার অন্যান্য সৈকত সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাবেন এই দলে রয়েছেন সুকল্যান ব্যানার্জী, শান্তনু সরকার, তপন মাইতি, শুভঙ্কর বোস, মন্টু আলি, রিন্টু ঘোষ সহ অন্যান্যরা।