#বাঁকুড়া: এক কিশোরের নৃশংস খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়েছিল ভূতের আতঙ্ক। বছর তিনেক আগে সেই খুনের ঘটনার পর একে একে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের চালিবাড়ির ডিহি গ্রাম পরিত্যাক্ত গ্রামে পরিনত হয়। এই খবর সম্প্রচারিত হয় নিউজ 18 বাংলায়। তারপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তারপর থেকে ব্লক প্রশাসনের নিরলস চেষ্টায় ধীরে ধীরে আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে চালিবাড়ির ডিহি গ্রাম। একসময়ের পরিত্যাক্ত গ্রামে ফের শুরু হয়েছে প্রাণের স্পন্দন।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের চালিবাড়ির ডিহি গ্রাম। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই জঙ্গল লাগোয়া এই গ্রামে একসময় ছিল গোটা পনেরো পরিবারের নিত্য বসবাস। তারপর বছর তিনেক আগে হঠাৎই এই গ্রামের এক কিশোর নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যায়। কুসংস্কারবশত গ্রামের মানুষের মধ্যে চেপে বসতে শুরু করে অশরীরী আতঙ্ক। একে গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বড়জুড়ি গ্রামে নিজেদের পুরানো আস্তানায় ফিরে যেতে শুরু করে পরিবারগুলি। মানুষ বসবাসের চিহ্ন হিসাবে চালিবাড়ির ডিহির উন্মুক্ত প্রান্তরে পড়ে থাকে পরিত্যাক্ত কিছু ভাঙাচোরা ঘরবাড়ি। বিষয়টি প্রথম আমাদের চ্যানেলেই তুলে ধরা হয়। এরপরই শুরু হয় প্রশাসনিক তৎপরতা। পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটিয়ে চালিবাড়ির ডিহি গ্রামে ফেরাতে বিজ্ঞান কর্মীদের নিয়ে একাধিকবার কর্মশালা করে ব্লক প্রশাসন।
দিন আনি দিন খাই পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয় চালিবাড়ির ডিহি গ্রামে দখলে থাকা জমি ও গাছের পাট্টা। গ্রামে পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়। বাসিন্দাদের জব কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরী করে দেওয়া হয়। সরকারি আবাস যোজনায় শুরু হয় বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরী করে দেওয়ার কাজও। সরকারি এই প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে অশরীরী আতঙ্ক কাটতে শুরু করে। আর তার জেরেই ফের পরিত্যাক্ত গ্রাম চালিবাড়ির ডিহিতে একে একে ফিরতে শুরু করে বাসিন্দারা। একসময়ের পরিত্যাক্ত গ্রামে ফের শুরু হয় প্রাণের স্পন্দন। ব্লক প্রশাসনের আশা দ্রুত ওই গ্রাম ফের ফিরে পাবে পুরানো প্রাণচঞ্চলতা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।