#পূর্ব বর্ধমান: আবার দেখা মিলছে ময়ূরের। অন্যান্য জীবজন্তুরা হারিয়ে গেলেও সংখ্যা বাড়ছে জাতীয় পাখির। আউশগ্রামের জঙ্গলে ময়ূরের সংখ্যা বাড়ায় খুশি বনদফতর। আগে এই জঙ্গলে হায়না থেকে শুরু করে প্রচুর সংখ্যক সজারু ও অন্যান্য প্রাণীর দেখা মিলত। এসবের অনেক কিছুই এখন অতীত। তবে ময়ূরের সংখ্যা বাড়ায় আশ্বস্ত বনদফতর। তাদের নিরাপত্তা ও খাবার ঘাটতি যাতে না হয় সে ব্যাপারে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জঙ্গলের মধ্যে দেখা মিলছে দলে দলে ময়ূরের। বছর খানেকের কাছাকাছি সময় ধরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের আদুরিয়া বিট এলাকায় ময়ূরের দল দেখা যাচ্ছে। কখনও গাছের ডালে বাচ্চাদের নিয়ে খেলে বেড়াচ্ছে ময়ূর।আবার জঙ্গলের পাশে জমিতেও ঘুরতে দেখা যাচ্ছে তাদের। ময়ূরের এই সংখ্যা বৃদ্ধি দেখে খুশি বনবিভাগ। উচ্ছ্বসিত পরিবেশপ্রেমীরাও।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি প্রাপকদের চিহ্নিত কী ভাবে? জেলাগুলিকে ১৫ দফা গাইডলাইন নবান্নের
আদুরিয়া বিটের বন আধিকারিক আসরাফুল ইসলাম বলেন, ময়ূরের এই সংখ্যা বৃদ্ধি বছর খানেক ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আদুরিয়া বিটের অধীনে বিভিন্ন গ্রামের কাছে জঙ্গলে ময়ূরের দল ছড়িয়ে রয়েছে। অনেকের চোখেই পড়ছে। এটা খুশির বিষয়।
জেলার জঙ্গলমহল এলাকা আউশগ্রাম। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই জঙ্গলে আগে বিভিন্ন জীবজন্তু দেখা যেত। কিন্তু নির্বিচারে শিকারের ফলে ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে হারিয়ে যায় সেই সব বন্যপ্রাণী ও পাখি। এবার ফের আদুরিয়া বিট এলাকায় ময়ূরের দল দেখা মেলা তাই তাৎপর্যপূর্ণ।বনদফতরের আধিকারিকরা জানান, গত দু’বছর ধরে জঙ্গলে কোনও ভাবে শিকারির দল ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া আগে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটত। কড়া নজরদারির জন্য আগুন লাগানো বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। তাই ময়ূরের বংশবিস্তার এখন অনেক সহজ। এ ছাড়া আমাদের জঙ্গলে ময়ূরের খাবারের অভাব নেই। খাদ্য ও নিরাপত্তা দু’টোই পেলে তাদের সংখ্যা আরও বাড়বে। আদুরিয়ার জঙ্গলে নেকড়ে, হায়না, খরগোশ, অজগর, বনমুরগি, বনবিড়াল প্রভৃতি প্রাণীরও দেখা মেলে বলে জানা গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan