#রামপুরহাট: প্রয়োজন না পড়লেও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার। রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন ডাক্তাররা। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীদের অভিযোগ এমনটাই। আর তার সুযোগেই সক্রিয় হয়ে উঠছে অ্যাম্বুল্যান্সের দালালচক্র। কমিশনের লোভে রোগী পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে পাঠাচ্ছেন চালকরা। একদিকে নার্সিংহোমে বিলের হাঁসফাঁস। অন্যদিকে সঠিক চিকিত্সা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। দুইয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোগীর।
প্রতিদিন প্রচুর রোগীর ভিড়। আর তাতেই বোধহয় বেজায় বিরক্তি রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিত্সকদের। রোগীর সমস্যা তেমন জটিল না হলেও কথায় কথায় বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা চিকিত্সকদের । আর এই রেফার করাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে নতুন ব্যবসা। ছলে-বলে-কৌশলে রোগী পরিবারকে বর্ধমান মেডিক্যালে না পৌঁছে নার্সিংহোমে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। পকেটে ঢুকছে মোটা অঙ্কের কমিশন।
আরও অভিযোগ, হাসপাতালে কম সময় দিয়ে চেম্বার সামলাতেই ব্যস্ত ডাক্তাররা।
কোনও চিকিত্সকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত হবে। কার্যত দায় সারলেন হাসপাতাল সুপার।
বর্ধমানের পিজি নার্সিংহোমের ঘটনায় প্রকাশ্যে আসে অ্যাম্বুল্যান্সে দালালচক্রের রমরমা। বিলের চাপের বোঝায় আত্মঘাতী হন রোগীর বাবা। রেফার করার পদ্ধতি কমলে লাগাম টানা যাবে এই দালালচক্রেও। বেসরকারি হাসপাতালের দিক থেকে মুখ ফেরানো যাবে সহজেই। এমনটাই মনে করছেন রোগীরা।