#বীরভূম: দুপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান ৷ রাতেই ফের সমর্থকদের নিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমুলে ফেরত৷ দলবদলের রাজনীতি রাজ্যে নতুন কিছু নয়৷ অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের দল বদল এবং তার সম্ভাবনা নিয়ে চর্চাও চলছে জোর৷ কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু' বার দল বদল করে রীতিমতো চর্চায় বীরভূমেপ দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবি!
বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক পারদ ততই বাড়ছে৷ আর তৃণমূল এবং অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূমে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে মরিয়া বিজেপি৷ তার জন্য় তৃণমূলের নিচু স্তরের সংগঠনে ভাঙন ধরানোর চেষ্টায় তারা৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে দবরাজপুরের বিজেপি-র দলীয় অফিসে দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃনমুল সদস্যা রফিকা বিবি ও তাঁর স্বামী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করেন। এই খবরে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে৷ শুরু হয় ড্য়ামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা৷
তৃণমূল নেতাদের তৎপরতার ফলও মেলে হাতেনাতে৷ বিজেপি-তে যোগদান করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোলবদল করেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবি৷ রাতেই ফের দলবল নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন তিনি। এবার তিনি দাবি করেন, 'বিজেপি ভুল বুঝিয়ে যোগদান করিয়েছিল। এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি তৃণমূলে আছি, আর তৃণমূলেই থাকব।' রফিকা বিবি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি-র তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল৷ তবে তৃণমূলে তিনি নিজে থেকেই ফিরে এসেছেন বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েক সদস্যা। দুবরাজপুরের তৃণমূল ব্লক অফিসে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবির হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র৷ সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউড়ি, তৃণমূলের দুবরাজপুর ব্লকের কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল ও রফিউল খান।
Supratim Das