#বর্ধমান: ধানের ভেতর চাল নেই। গলসি,ভাতারের পর এবার এই ঘটনা ঘটলো বর্ধমানের কুড়মুন, কলিগ্রাম ও তার আশপাশ এলাকায়। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি দফতরে পরামর্শ মেনে ধান গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। তারপরও ধানের ফলন হয়নি। ধান আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেই ধান কেটে ফলন মেলা তো দূরের কথা, ধান কাটার খরচটুকুও উঠবে না বলেই জানিয়েছেন তারা। কৃষি দফতর জানিয়েছে, ওই সব এলাকায় কিছু জমিতে মাজড়া পোকার প্রভাবে ধানের ক্ষতি হয়েছে। ওই এলাকায় চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেই আবেদন করা হচ্ছে।
এর আগে পূর্ব বর্ধমান জেলারই গলসি ও ভাতারের বেশকিছু চাষি বাজার থেকে চড়া দামে কীটনাশক কিনে তা জমিতে প্রয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ভালো ফলন হওয়া দূরের কথা, ভালো গাছ হলেও তা থেকে ধান মেলেনি। এবার সেই একই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন বর্ধমান এক নম্বর ব্লকের কুড়মুন গ্রামের চাষিরা। তাঁরা বলছেন, গাছ দেখে ফলন ভাল হবে বলে আশা করা হয়েছিল। মোটা শিরোনাম হয়েছিল। কিন্তু কীটনাশক প্রয়োগের পর দেখা যাচ্ছে সেই ধানের ভেতর চাল হয়নি। মোটা টাকা দেনা করে চাষ করা হয়েছিল। সেই ধান বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যাবে বলে আশা করেছিলেন কৃষকরা কিন্তু এখন ধানের ভেতর চাল না থাকায় মাথায় হাত কৃষকদের।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটের ওপর জেলায় ধানের ফলন ভালো হলেও কিছু কিছু জায়গায় রোগ পোকার আক্রমণের কারণে ফলন মার খেয়েছে কিছু এলাকায় খারাপ বীজের জন্য ফলন অনেক কম হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। আবার অনেক জায়গায় কীটনাশক প্রয়োগের পর ধানের ফলন একেবারেই কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বর্ধমানের কুড়মুন, কলিগ্রামে কিছু জমিতে ব্যাপকভাবে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। সেই পোকা দূর করতে কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়ার কারণে পোকার আক্রমণ আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। সেই কারণেই ফলন হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে ওই কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান তা দেখার জন্য বিমা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
Saradindu Ghosh