Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: ধূপগুড়ির ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পরও হুঁশ ফেরেনি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। নজরদারি ছাড়াই জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে ছুটছে ওভারলোডিং ট্রাক। ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বালি পাথর সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে ট্রাকগুলি ছুটলেও এই জেলায় সেভাবে নজরদারি নেই বললেই চলে। ট্রাক চালকরা বলছেন, রাস্তায় গাড়ির চাকা গড়ালেই মোটা টাকা নজরানা দিতে হয়। তাতেই মেলে সবুজ সংকেত। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে পরিবহণ দপ্তরের দাবি, নজরদারি চলে নিয়মিত।
পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রয়েছে চেক পোস্ট। কোন ট্রাক ধারণক্ষমতার বেশি পণ্য পরিবহন করছে, রাস্তায় ছোটা ট্রাকগুলি পণ্য পরিবহনের জন্য কতটা উপযুক্ত অর্থাৎ ফিট সার্টিফিকেট আছে কিনা এ সব বিষয়ে নজরদারির জন্যই রয়েছে এই চেকপোস্ট। অথচ এখানে সে ধরনের কোনও তৎপরতা চোখে পড়ল না।
ট্রাক চালকরা বলছেন, দিনে রাতে সবসময় ওভারলোডিং চলছে। অথচ কেউ দেখার নেই। তাই বারে বারে দুর্ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।তাঁরা বলছেন, ট্রাক ওভারলোডেড থাকুক বা না থাকুক এ রাজ্যে রাস্তায় চাকা গড়ালেই পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিতে হয়। আর তাতেই মেলে বিনা বাধায় এগিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র। তাঁরা বলছেন, বিহার ঝাড়খন্ডের পুলিশ প্রশাসন অনেক বেশি তৎপর। কিন্তু এখানে নজরদারি চোখেই পড়ে না।যদিও পরিবহণ দফতর এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, মোটর ভেহিকেল ইনস্পেক্টররা নিয়মিত নজরদারি চালান। ওভারলোডেড ট্রাক আটকে জরিমানা ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চেকপোস্টগুলিতেও নিয়মিত নজরদারি চলে বলে দাবি করেছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা।