RAJARSHI ROY
#বনগাঁ: বনগাঁর রতন ঘোষ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে বৃহস্পতিবার ইস্থফা দিলেন। গতকাল ছিল বনগাঁর গোপালনগরে তৃণমুল কংগ্রেসের মেগা শো। তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বনগাঁর কোনও সভায় এতদিন গড়হাজির ছিলেন না রতন ঘোষ। সেই ১৯৯৮-এ দল তৈরীর পর থেকেই তিনি মমতার সৈনিক।
বনগাঁ মহকুমা সব সময় রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমুলের গড় হিসাবেই পরিচিত। সেই গড়ে গত লোকসভায় দাঁত ফোটায় বিজেপি। মতুয়া বাড়ির ছেলেকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল তারা। মতুয়াদের আপনজন হতে মতুয়া ধর্ম সম্মেলনে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বনগাঁর তৃণমুল কংগ্রেসের সাফল্যে রতন ঘোষের ভূমিকা বনগাঁর রাজনীতিতে সর্বজন গ্রাহ্য। এহেন রতন ঘোষকে দল সুন্দরবনের সন্দেশখালি থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এ জেলা পরিষদের সদস্য করে। তারপর থেকেই তিনি জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলে আসছেন। বিজেপি ঝড় বনগাঁয় আছড়ে পড়ার আগে, ঘর গোছাতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেন গোপালনগরে। মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রী দরাজ হন মতুয়াদের চাহিদা ও দাবী গুলির উপর।
আর ঠিক এমন দিনেই রতন ঘোষের বিদ্রোহ এক নতুন চমক বনগাঁর রাজনীতিতে। দিদির মিটিংয়ে না গিয়ে এ দিন রতন ঘোষ যান জেলা শাসকের দফতরে। সেখানে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা করেন বনগাঁর আদি তৃণমুল নেতা রতন ঘোষ। বর্তমানে জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ্য তিনি। পদত্যাগ পত্রের একটি কপি জেলা সভাপতির কাছেও পাঠিয়েছেন তিনি। বনগাঁর গোপালনগরে তৃণমুল সুপ্রিমোর সভায় হাজির না হওয়া নিয়ে নিজে কিছু না জানালেও, বনগাঁর রতন ঘোষের না থাকা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। এ দিন সন্ধ্যায় জেলা পরিষদের তৃণমুলের দলনেতা নারায়ণ গোস্বামী জানান, তিনি জেলা সভাপতির কাছ থেকে জেনেছেন রতন ঘোষের পদত্যাগের বিষয়টি। তাঁর দাবী তিনি, জেলা পরিষদের সভাপতি ও জেলা তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কথা বলবেন বিদ্রোহী রতন ঘোষের সঙ্গে। রতন ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, শুধু জেলা পরিষদ নয় রতন ঘোষ দলের সাধারণ সদস্য হিসাবেও থাকবেন না।