হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
মিলল নাকি আঙুলের ছাপ? সিআইডি আসতেই কৌতূহলী গলসি

মিলল নাকি আঙুলের ছাপ? সিআইডি আসতেই কৌতূহলী গলসি

শরদিন্দু ঘোষ 

  • Last Updated :
  • Share this:
#বর্ধমান: মিলল নাকি আঙুলের ছাপ! কাচের শোকেস, কিংবা সিন্দুকের আশপাশে? আঙুলের ছাপ নিয়ে ধরা যাবে দুষ্কৃতীদের? কোন দিকে গিয়েছে তারা জানা গেল! এমন নানান প্রশ্নের উত্তর পেতে উদগ্রীব গলসির ব্যবসায়ীরা।গত শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী পূর্ব বর্ধমানের গলসি বাজারে দু নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি মার্কেট কমপ্লেক্সের ভেতর সোনার দোকানে অপারেশন চালায়। নগদ আট ন লক্ষ টাকা নগদ ও বহু লক্ষ টাকার গয়না লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সি সি টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে নকল দাড়ি গোঁফ লাগিয়ে ফুল হাতা জামা পরে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের সঙ্গে ছিল লাঠি ও ভোজালি। বেশ কয়েকটি সি সি টিভি ক্যামেরা তারা ভেঙেও দেয়।গলসি থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই লুটপাটের ঘটনায় যথেষ্টই বিপাকে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে  সি আই ডির সাহায্য নিয়েছে পুলিশ।  মঙ্গলবার  চুরি হওয়া সোনার দোকানে যান সি আই ডি ফিংগার প্রিন্ট এক্সপার্ট মৃত্যুঞ্জয় রায় সহ ৩ জন আধিকারিক। ছিলেন গলসি থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররাও।মার্কেটের পিছন দিকে বাথরুমে পাশে সিসিটিভি ভেঙে লোহার গ্রিলের গেটের চাবি কেটে মার্কেটে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। তারপর একের পর এক সিসিটিভি ভেঙ্গে সোনার দোকানে পৌছায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারী অফিসারদের সেই পথ দেখান উপস্থিত ব্যবসায়ীরা।ফিংগার প্রিন্ট সংগ্রহের পাশাপাশি এলাকা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। কিছু নমুনাও তাঁরা সংগ্রহ করেছেন।
এরপরই নানান প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন আতংকিত ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই মার্কেটের নাইট গার্ডের সঙ্গে কথা বলেছে। রাত একটা নাগাদ সে শুতে চলে গিয়েছিল বলে আগেই জানিয়েছিল ওই নৈশ প্রহরী। পুলিশের অনুমান, ঘটনার সঙ্গে স্হানীয় কারও যোগসাজশ রয়েছে। ওই দোকানে নগদ টাকা ও প্রচুর সোনা থাকার কথা বাইরের দুষ্কৃতী দলের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। পেছন দিয়ে যে মার্কেটে ওঠা যায় সে তথ্যও ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। তাই দুষ্কৃতীরা স্হানীয় হতে পারে। আবার স্হানীয় কেউ বাইরের দল আনিয়ে এই লুটপাট চালাতে পারে। সব দিকই খতিয়ে দেখে ঘটনার কিনারা করতে সচেষ্ট পুলিশ। Saradindu Ghosh
Published by:Elina Datta
First published: