#বর্ধমান: পুজোর আগে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বর্ধমানের প্রতিমাশিল্পীরা। তাঁরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। তার ওপর সেভাবে প্রতিমা তৈরির বরাত মিলছে না। দুইয়ে মিলিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা।
প্রতিমাশিল্পীরা বলছেন,পুজোর এই সময়টুকুর জন্যই সারা বছরের অপেক্ষায় থাকা হয়। কিন্তু এবার এখনও পুজোর উদ্যোক্তাদের সেভাবে দেখা মিলছে না। বড় পুজো মণ্ডপগুলি প্রতিমা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা সবেতেই বাজেট কমাচ্ছে। ছোট পুজোর উদ্যোক্তারা পুজোর আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলেও এখনও কুমোরপাড়ায় ভিড় জমাননি। সব মিলিয়ে কতগুলো বরাত আসবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন প্রতিমা শিল্পীদের অনেকেই।
বর্ধমানের বড়নীলপুর ও ছোটনীলপুর এলাকায় বেশ কয়েকজন প্রতিমা শিল্পী রয়েছেন। তাঁরা বলছেন,পরিস্থিতি যতটা খারাপ হবে ভাবা হয়েছিল তার থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বেশিরভাগ পুজো কমিটি এবারও পুজো করবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাদের এখনও কুমোরপাড়ায় দেখা নেই। এবার পুজো কিছুটা দেরিতে বলেই হয়তো তাদের আসতে দেরি হচ্ছে। অন্যান্যবার গড়ে চল্লিশটি প্রতিমা করেন একজন শিল্পী। সে জায়গায় এখনও পর্যন্ত চার পাঁচটি করে প্রতিমা তৈরির বরাত মিলেছে।
প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন, এবার করোনার কারণে অন্যান্য পুজোর কাজ কমেছে অনেকটাই। কমেছে উপার্জন। গন্ধেশ্বরী পুজো থেকে শুরু করে মনসা কিংবা গণেশ পুজো- এবার প্রতিমা চাহিদা ছিল খুবই কম। অন্যান্যবার এইসব প্রতিমা তৈরি করে কিছু অর্থ হাতে থাকে। তা দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরির আগে কাঁচামাল কেনা যায়। কিন্তু এবার সেই অর্থ হাতে নেই। বিশ্বকর্মা প্রতিমা বিক্রি হবে এমন নিশ্চয়তাও নেই। তার ওপর মাটি থেকে শুরু করে খড়, সুতলি দড়ি, বাঁশ-কাঠ সবেরই দাম বেড়েছে। বাস ট্রেন না চলায় প্রতিমা চুল থেকে শুরু করে সাজ- কোনও কিছুরই আমদানি নেই। স্থানীয় বাজারে সেসব চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পুজোর উদ্যোক্তারা বাজেট বাড়াতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে চরম অর্থ সংকটের মধ্যেই মা দুর্গার প্রতিমা গড়ার কাজ চালাতে হচ্ছে। অনেকেই কারিগর রাখতে পারছেন না অর্থের অভাবে। কিছু অর্থের মুখ দেখতে নিজেরাই বাড়তি পরিশ্রম করে সেসব কাজ সামাল দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।