#উত্তর ২৪ পরগনা: তেজপাতা চাষ করে ফেরানো যাবে অর্থনৈতিক ভাগ্য। প্রমাণ করে দিয়েছেন এক হাই স্কুল শিক্ষক। জমিতে নামমাত্র চাষ করেই তিনি লাগিয়েছিলেন তেজপাতা গাছ। এক দু বছর পর থেকে সেই গাছ থেকে সুফল মিলেছে বলে দাবি স্কুল শিক্ষকের।
তিনি জানিয়েছেন, বছরে দুবার এই পাতা বিক্রি করা যায়। তবে তিনি বছরে একবারই এই পাতা বিক্রি করে থাকেন। আর তাতেও তিনি ভাল লভ্যাংশ পেয়েছেন। যদি কোনও ভাবে গাছগুলিকে একবার বাঁচানো সম্ভব হয়, তবে বহু বছর পর্যন্ত এই গাছের পাতা বিক্রি করা সম্ভব। তথাকথিত চাষ অপেক্ষায়, জমিতে তেজপাতা গাছ লাগিয়ে ভালোই রোজগার মিলতে পারে বলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানালেন গোপালনগর থানার মামুদপুর অঞ্চলের এই হাই স্কুল শিক্ষক অশোক সরকার।
জমিতে ছ'ফুট দূরত্বে বসানো যাবে এক একটি গাছের চারা। গাছগুলো বড় হলে যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য দূরত্ব কিছুটা বড় হলেও ক্ষতি নেই। তবে তেজপাতা গাছের জমিতে যাতে কোনভাবে জল দাঁড়াতে না পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'মা-বাবার থেকেও বেশি ভালবাসতাম' অনুভবের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েনেই বিদিশার এই পরিণতি?
তেজপাতা গাছ লাগালে তেমন পরিচর্যার দরকার হয়না। মাঝেমধ্যে একটু জৈব সার ব্যবহার করলেই গাছের স্বাস্থ্য বেশ ভালো হয়। ফলে একটি গাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণ স্বাস্থ্যবান পাতা পেয়ে থাকেন কৃষকরা। ফলে বাজার মূল্য বেশ ভালই পাওয়া যায়।
মামুদপুরের অশোকবাবু তার জমিতে প্রায় ১০০ টি তেজপাতা গাছ লাগিয়ে বছরে প্রায় লক্ষাধিক টাকা রোজগার করেন বলে জানিয়েছেন।এক এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তবে তিনি বছরে একবার পাতা বিক্রি করলেও, এই তেজপাতা গাছ চাষে আগ্রহীরা বছরে দুবার পাতা বিক্রি করতে পারবেন বলে মত অশোকবাবুর।
Rudra Narayan Roy
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।