Saradindu Ghosh
#বর্ধমান: এবার স্বাদ বদল সীতাভোগ মিহিদানার। রসনায় জল আনা স্বাদ তো ছিলই, এবার তার সঙ্গে যোগ হল মনমাতানো গন্ধও। খাদ্য রসিকদের প্লেটে এল নলেন গুড়ের সীতাভোগ মিহিদানা।
বড়লাট লর্ড কার্জন সুখ্যাতি করেছিলেন। তার রেশ ধরে বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে দেশ বিদেশে সুখ্যাতি ছড়িয়েছে বর্ধমানের এই যমজ মিষ্টির। বয়স যত বেড়েছে ততই সুনাম ছড়িয়েছে বর্ধমানের সীতাভোগ- মিহিদানার। শতবর্ষ পার করে এবার সেই সীতাভোগ মিহিদানার রঙ বদলাল খেঁজুর গুড়ের সঙ্গে মাখামাখি হয়ে।
বর্ধমান শহরে ভৈরবচন্দ্র নাগের হাতে জন্ম হলেও সীতাভোগ মিহিদানার জন্য বিখ্যাত গণেশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। নলেন গুড়ের সীতাভোগ-মিহিদানার প্রচলন ঘটাল তারাই। দোকানের মালিক প্রসেনজিৎ দত্ত বলেন, একই স্বাদ বজায় রেখে শতবর্ষ পার করেছে সীতাভোগ মিহিদানা। তাই নতুনত্বের ছোঁয়া । আদি অকৃত্রিম সীতাভোগ মিহিদানা তো থাকছেই, তার পাশে থাকছে নলেন গুড়ের স্বাদও। দাম একটু বেশি। এমনিতে ঘিয়ের তৈরি সীতাভোগের দাম ২২০ টাকা প্রতি কেজি, মিহিদানা ২০০ টাকা প্রতি কেজি । নলেন গুড়ের সীতাভোগের দাম করা হয়েছে ২৬০ টাকা প্রতি কেজি, মিহিদানার দাম ২০ টাকা প্রতি কাপ। নলেন গুড়ের গড়িয়ে যাওয়া আটকাতেই এই 'অভিনব' কাপের ব্যবস্থা।
বিক্রেতারা জানালেন, নদিয়া জেলা থেকে খাঁটি নলেন গুড় আনা হয়েছে । তা দিয়েই এই স্বাদ বদলের ব্যবস্থা। নলেন গুড়ের রসগোল্লা সন্দেশ তো ছিলই। এবার তার সঙ্গে নাম জুড়ল সীতাভোগ মিহিদানাও।
এহেন উদ্যোগ বর্ধমানে এই প্রথম। সেকথা ভোজন প্রিয় বাসিন্দাদের জানাতে নলেন বাহার কর্মসূচি নিয়েছে গনেশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। শুক্র শনি ও রবি - এই তিনদিন নলেন গুড়ের সীতাভোগ মিহিদানার স্বাদ পাওয়া যাবে। প্রচারের পাশাপাশি ক্রেতাদের মতামত নিতেই তিনদিনের এই ব্যবস্থা। তবে দর্শকদের চাহিদা বলছে, প্রতি বছরই শীত মরশুমে এই বিশেষ মিষ্টি দোকানের শোকেসে ভাল জায়গাই দখল করবে।বর্ধমানের মহারাজার উৎসাহে আগ্রহে তৈরি হয়েছিল রসে ভেজা কিন্তু ঝরঝরে এই দুই মিষ্টি। রাজ আমল না থাকলেও স্বমহিমায় রয়েছে সীতাভোগ মিহিদানা। এবার তাতে নলেন গুড়ের মিশেলে ভোজন রসিকদের জিভে বাড়তি জল যে আনবে, তা বলাই বাহূল্য।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।