#বর্ধমান: অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রাস্তা থেকে সরানো হল মৃতদেহ। বুধবার সকাল দশটা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামে পড়ে ছিল এক ব্যক্তির মৃতদেহ! তার ধারে কাছে যেতে রাজি হয়নি কেউই। পূর্ব বর্ধমানের আউসশগ্রামের বিল্বগ্রামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃতদেহ পড়ে থাকা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এলেও তারা মৃতদেহ সরায়নি। আসতে চায়নি কোনও গাড়িও। অনেক রাতে জেলা শাসকের হস্তক্ষেপে মৃতদেহ তুলে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। এই মৃত্যুর পেছনে করোনা বা অন্য কোনও সংক্রামক রোগ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন প্রতিবেশীরা। কি কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর এমনই দাবি তুলেছিলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে কারা মৃত্যুর আগে ওই ব্যক্তিকে বাড়ির কাছে ফেলে গিয়েছিল তাও দেখা হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিল্বগ্রামের কবিরাজ মাড্ডি বাঁকুড়ার একটি রাইস মিলে কাজ করত। দুই মাস আগে সে কাজে যোগ দিয়েছিল। তারপর থেকে লকডাউনের জেরে আর বাড়ি ফিরতে পারেনি। বুধবার সকালে হঠাৎই তার সহকর্মী পরিচয় দিয়ে দুজন ব্যক্তি তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নামিয়ে দিয়ে যায়। বাড়ির সামনে সে ছটফট করতে থাকে। তার মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। কিছুক্ষণ পরেই সে মারা যায়।ততক্ষণে তার সঙ্গে আসা ব্যক্তিরা চম্পট দেয়। ওই ব্যক্তির দেহ নিথর হয়ে যেতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সে করোনা বা অন্য কোনও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ছিল, না কি মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ ক্রমেই দানা বাঁধে। গ্রামবাসীরা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানান। গ্রামে দিনভর দফায় দফায় পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের টিমও যায়। তবে মৃতদেহ সরানো ব্যাপারে কেউ আগ্রহ দেখায়নি। তা দেখে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরাও দূরে থেকেছেন। রাতে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের গোচরে এলে মৃতদেহ তুলে আনা হয়।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Lockdown, Migrant Worker