#বর্ধমান: শুক্রবার লকডাউন। তার আগে বৃহস্পতিবার লাগামছাড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেল বর্ধমানে। সকাল থেকেই বর্ধমানের জিটি রোড সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে ছিল থিকথিকে ভিড়। মাঝেমধ্যেই যানজটের লম্বা লেজ দেখা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে। শনিবার যে লকডাউন থাকছে না তা তখনও জানতে পারেননি বেশিরভাগ বাসিন্দাই। ফলে শুক্র-শনি ও রবিবার সব বন্ধ থাকবে ধরে নিয়েই প্রয়োজনের কাজ সারতে পথে বেরিয়ে ছিলেন অনেকেই।
বাসিন্দারা বলছেন, লকডাউন মানে দোকান বাজার সব বন্ধ। আবার সব স্বাভাবিক হতে হতে সেই সোমবার। তাই গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় সামগ্রী থেকে শুরু করে সব কিছুই কিনে নেওয়ার তাগিদ অনুভব করেছেন অনেকেই। আবার অনেকে বেরিয়েছিলেন সরকারি অফিস, ব্যাঙ্কে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে। সে কারণেই এদিন শহরজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট থেকে শুরু করে বি সি রোড, খোসবাগান, কোর্ট কম্পাউন্ড, বীরহাটা, পুলিশ লাইন বাজার, বিবেকানন্দ কলেজ মোড় সহ সব এলাকাতেই এ দিন লোক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।
শহরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইদানিং জেলাজুড়ে বেসরকারি বাস চলাচল বেড়েছে। বাসিন্দাদের অনেকেই করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে বাইরে বেরচ্ছেন। নানান প্রয়োজনের তাগিদে গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দারাও সদর শহর বর্ধমানে আসছেন। তার জন্যই গত কয়েকদিন ধরেই শহরের রাস্তায় ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুজোর বাজার শুরু হয়ে গেছে। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে দোকানগুলিতে। অল্প অল্প করে পুজোর বাজার সারছেন বাসিন্দারা। এসব কারণেই ভিড় বাড়ছে।
এদিন শহরের সবজি ও মাছ বাজারগুলিতেও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। লকডাউনের কথা ভেবেই মাছ সবজি বাড়িতে মজুদ করার জন্য এদিন বাজারে বেশি সংখ্যায় বাসিন্দারা ভিড় জমিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বর্ধমানের স্টেশন বাজার, রানীগঞ্জ বাজার, তেঁতুলতলা বাজার,পুলিশ লাইন বাজার, কালনা কালনা গেট বাজার- সর্বত্রই এদিন ক্রেতাদেের ভিড়ে ছিল সরগরম। তবে সবজির দাম ছিল আকাশছোঁয়া। বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের জেরে আমদানি কম। তাই চড়া দামে বিক্রি হয়েছে সবজি।