#কলকাতা: আর দেরি নয়, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত শুরু করতে চায় কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। চার লেন থেকে ৬ লেন হচ্ছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েকে চার লেন থেকে ছয় লেনে রুপান্তরের সিদ্ধান্ত বেশ কিছুদিন আগেই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। ভারতমালা প্রকল্পের আওতায় এই কাজ শুরু হতে চলেছে শীঘ্রই। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি মাসেই এই কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান রাস্তা হল এই দুই নম্বর জাতীয় সড়ক। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে শহর কলকাতার প্রধান যোগাযোগ হয় এই রাস্তা দিয়েই। চার লেনের এই রাস্তা দিয়ে শিল্পাঞ্চলের পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি, ছোট গাড়ি, বাস যাতায়াত করে। জাতীয় সড়ক বা এন এইচ এ আইয়ের (NHAI)দাবি, যত দিন যাচ্ছে তত এই রাস্তার ওপরে গাড়ির চাপ বাড়ছে। বিহার ও ঝাড়খন্ডে যাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান রাস্তা হওয়ার জন্য গাড়ির চাপ বেড়েছে হু হু করে। কিন্তু নানা কারণে নিত্যদিন যানজট তৈরি হওয়ার কারণে সমস্যা বেড়েছে অনেকটাই। গত বছরের শেষেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এই রাস্তাকে চার লেনের বদলে ছয় লেনে বদলে ফেলা হবে। সেই কাজ শুরু হতে চলেছে অবশেষে।
রাস্তার কাজে অভিজ্ঞ এমন সংস্থা দিয়েই এই কাজ করাতে চাইছে এন এইচ এ আই। সে কারণেই গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ১০ জুলাই ছিল টেন্ডার প্রক্রিয়ার শেষ দিন। যদিও সেই প্রক্রিয়া বাতিল করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কারণ তারা চাইছে এমন এক সংস্থা যারা রাস্তা সম্প্রসারণের পাশাপাশি, তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং রাস্তার দু'ধারের ফেন্সিং কাজ করবে। ফলে বিশ্বের বাছাই করা সংস্থা চাইছে এন এইচ এ আই।
আরও পড়ুন সুখবর! ৫মাস বন্ধ থাকার পর বৈষ্ণোদেবীর পবিত্রযাত্রা শুরু, মিলবে মাতার দর্শনও
১৩০ কিমি লম্বা অংশ জুড়ে হবে এই কাজ। মোট দুটি ভাগে এই কাজ করা হবে। একটি অংশের কাজ হবে পানাগড় থেকে পালসিট অবধি। অপর অংশের কাজ হবে পালসিট থেকে ডানকুনির মধ্যে। পানাগড় অংশে কাজ করার জন্য প্রয়োজন ছিল সেনাবাহিনীর অনুমতি। সেই অনুমতি আগেই পাওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এন এইচ এ আই'য়ের জিএম আর পি সিংহ। তিনি জানিয়েছেন লক্ষ্য হল তিন বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করা। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এই রাস্তার শুধু সম্প্রসারণ নয়, নতুন ভাবে এই রাস্তাকে গড়ে তুলতে চাইছেন। জাতীয় সড়কের দু'ধার জুড়ে রয়েছে অসংখ্য গ্রাম। ফলে জাতীয় সড়কের রাস্তা পারাপার করে সারাক্ষণ। এই সমস্যা মেটাতে থাকছে মোট ৬০টি ভেহিক্যালস আন্ডারপাস। থাকছে ৩টি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ। থাকছে ৪টি ফ্লাইওভার। সমস্যা হচ্ছে রাস্তার ডিভাইডার হিসাবে যে জমি আছে তাতে গবাদি পশু ছেড়ে বা বেঁধে দিয়ে যান অনেকেই। তারা রাস্তায় নেমে আসে। যার ফলে একাধিক দূঘটনা ঘটে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা রাস্তা ফেন্সিং করে দেওয়া হবে।
এন এইচ এ আই'য়ের জিএম জানিয়েছেন, "২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে এখন ৬০ টির কাছাকাছি ব্ল্যাক স্পট আছে। আমাদের রাস্তা সম্প্রসারণ হয়ে গেলে সেটা শুন্যে নেমে আসবে।" আমাদের রাজ্যে রাস্তা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিজ্ঞতা ভাল নয় এন এইচ এ আইয়ের। বিশেষ করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে। তবে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়ে জমির সমস্যা হবে না বলেই মত আর পি সিংয়ের। ৯৯% ক্ষেত্রে জমির সমস্যা মিটে গেছে বলে মত তার। বাকি ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার সাহায্য করছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু একাধিকবার টেন্ডার নিয়ে নানা সমস্যা শুরু হওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: National Highway Road