#সিউড়ি: এতদিন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা ছিল না । ছিল না পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগী থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সকলকেই। এমনই বেহাল দশা ছিল বীরভূমের সিউড়ি ১নম্বর ব্লকের তিলপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের। অবশেষে ১৩ বছর পর রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করল স্থানীয় পঞ্চায়েত।
রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে মিলবে বিদ্যুৎ পরিষেবাও ও পানীয় জলের পরিষেবা। ২০০৭ সালে বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের তিলপাড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নির্মাণ হয়েছিল স্থানীয় মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে। স্থানীয় এক বাসিন্দা নিজের মায়ের স্মৃতিতে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য জমি দান করেছিলেন। তারপরে সরকারি খরচে ওই জমিতে গড়ে ওঠে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন। কিন্তু নির্মাণ হওয়ার পর ১৩ বছর কেটে গেলেও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার কোন রাস্তা তৈরি করা যায় নি এতদিন। ফলে রোগীদের ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌছাতে পুকুর পাড়ের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হত। বিশেষ করে বর্ষার সময় বেশী সমস্যা হত। কারণ বর্ষার সময় কাদামগ্ন রাস্তায় যাতায়াত করা সমস্যা জনক ছিল৷ এমনকি অনেকে পিছলে পড়ে আহত হয়েছেন।
এক স্বাস্থ্যকর্মীর কথায়," বৃষ্টি হলে আমরা প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে বারন করে দিতাম। কারণ পিছলে পড়ে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।" তাছাড়া বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে কাজ করতে হতে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের। এই নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বারবার জানিয়েও লাভ হয় নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা সাধারণ মানুষের। এতদিন তাঁরা জমি দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই ইচ্ছা থাকলেও রাস্তা করা যায় নি। এখন তাঁরা জমি দিয়েছেন তাই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। দুমাসের মধ্যে সেই কাজও সম্পন্ন হবে। রাস্তা তৈরি হলেই সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবাও চালু করা হবে। তাতেই কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীরা।
Supratim Das