#বর্ধমান: আপাতত বর্ধমানের পুরনো রেল সেতু ভাঙা হচ্ছে না।সেখানে নতুন একটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হবে।তারপরই ভাঙা হতে পারে পুরনো রেল সেতু। রেল ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গিয়েছে। তবে এখন থেকে আর পুরনো জীর্ণ রেল সেতু দিয়ে টোটো, রিক্সার মত যানও চলাচল করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে বা সাইকেল যাতায়াতের জন্য এই সেতু ব্যবহার করা যাবে।
মঙ্গলবার হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয় কুমার সাহা বর্ধমানে নতুন রেল সেতু পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি পুরনো রেল সেতুর বর্তমান অবস্থা নিয়েও খোঁজখবর নেন। এরপর জেলাশাসকের অফিসে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক মহম্মদ এনাউর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে নতুন ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোডের দায়িত্বভার হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা হয়। জেলাশাসক মহম্মদ এনাউর রহমান জানান, রেলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। তেমনই একটি সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। জানুয়ারিতে নতুন ব্রিজের অ্যাপ্রোচ রোডের দায়িত্বভার হস্তান্তরের সময়সীমা স্থির হয়েছে।
নয় দশক আগে তৈরি রেল ওভার ব্রিজ জীর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন সেতু তৈরির প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। রাজ্য ও রেলের অর্থে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বর্ধমান কাটোয়া রোডের ওপর ঝুলন্ত সেতুর উদ্বোধন হয়। এরপরই পুরনো সেতু ভেঙে ফেলার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। নতুন সেতু এতোই দীর্ঘ ও উঁচু যে দুপারের বাসিন্দাদের সাইকেলে বা পায়ে হেঁটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তা অসুবিধার কারণ হয়ে ওঠে। ফলে বাসিন্দারা সাইকেল রিকশা টোটোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পুরনো সেতুই ব্যবহার করছিলেন।
জেলা প্রশাসন রেলের কাছে পুরনো সেতুর বিকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল। অবশেষে সেই প্রস্তাব রেল মেনে নিতে চলেছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরনো রেল ব্রিজের বিকল্প হিসেবে আট ফুট চওড়া একটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হবে। তার জন্য চার কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখন থেকে আর পুরনো রেল সেতুর ওপর দিয়ে রিকশ বা টোটো চলাচল করতে দেওয়া হবে না।