এদিন বক্তব্যের মাঝে পৌষমেলা না হওয়া নিয়ে আক্ষেপ করেন আচার্য। তাঁর উদ্বেগটা ছিল মূলত মেলায় আসা ছোট শিল্পীদের নিয়ে। করোনার কারণে ছোট ছোট কারিগরদের পেটে টা পড়া নিয়ে আক্ষেপ করেন তিনি। বলেন, "এই নিয়ে ১০০ বছরে তৃতীয় বার এই মেলা হল না, ছোট শিল্পীরা, কারিগররা বিপদে পড়লেন। আমি চাইব, এই কারিগরদের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা নজর দিন।'
কিন্তু কী ভাবে সম্ভব তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারা? কতটুকু সামর্থ্য ছাত্রদের। প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার পাঠ পড়িয়ে বললেন, সমস্ত লোকশিল্পীদের কাজের নমুনাকে মেলে ধরতে হবে। তাঁদের প্রস্তুত করা হাতের কাজ কী ভাবে বিশ্ববাজারে তুলে ধরা যায় সেই নিয়ে পরিকল্পনা জানান। বোঝাই যাচ্ছে মোদি চাইছেন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শান্তিনিকেতন সংলগ্ন শিল্পীদের কাজ সহজরেই শো-কেসিং করা যাবে। থাকবে কেনাবেচার ব্যবস্থা।
অর্থাৎ অনলাইনেই সোনাঝুরির হাট। এমন পরিকল্পনায় শান্তিনিকেতনের পড়ুয়াদেরই এগিয়ে আসতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন রবীন্দ্রনাথের গ্রামভাবনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও। তাঁর কথায়, শান্তিনিকেতন হোক বা শ্রীনিকেতন গুরুদেবের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে চলেছে শতবর্ষ ধরে। গুরুদেবের গ্রামোদয়ের আজ গোটা বিশ্বে চর্চিত। মোদি চান সেই ভাবনাই নতুন পথ খুঁজে পাক নিউ নর্মালে।