বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে রীতি মেনে অনুষ্ঠিত হল নবান্ন উৎসব। বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পুজোর মধ্য দিয়ে আজ গোটা রাঢ়বঙ্গে নবান্নের সূচনা হয়ে গেল। এবার একে একে বিভিন্ন এলাকায় এই উৎসব হবে। এদিন বিশেষ পুজোপাঠের পর দেবীকে নতুন চালে তৈরি ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগের মধ্যে ছিল পোলাও ও সুগন্ধি চালের পায়েসও।
বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। তার মধ্যে অন্যতম এই নবান্ন। এই সময় কৃষকদের বহু প্রতীক্ষার ধান ওঠে। ধান ঝাড়ার পর সেই ধান দেবীকে নিবেদন করার অনুষ্ঠানই নবান্ন। চালের সঙ্গে ফল মিশিয়ে তা মা লক্ষ্মী নিবেদন করা হয়। তৈরি হয় নতুন চালের নানান সুখাদ্য। নবান্ন উপলক্ষে বাড়ি আত্মীয় পরিজনে ভরে ওঠে। যাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এবার সেই উৎসবে বাধ সেধেছে করোনার সংক্রমণ।
এদিন স্বাস্থ্য বিধি মেনেই নবান্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। অন্যান্য বার নবান্ন উৎসবে সকাল থেকে অগণিত ভক্ত মন্দিরে ভিড় করেন। এবার গত বছরগুলির মতো না হলেও মন্দিরে এসেছিলেন দর্শনার্থীদের অনেকেই। সংক্রমণ ঠেকাতে বসেছে স্যানিটাইজার টানেল। দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দেন সকলেই।
সর্বমঙ্গলা ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, "মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরের নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে রাঢ় বঙ্গে নবান্নের সূচনা হল। করোনা পরিস্থিতির জন্য এতদিন মন্দিরে ভোগবিলি বন্ধ ছিল। আজই প্রথম সাধারণের জন্য ভোগ বিলি করা হয়।তবে তা এবার অন্য বছরের তুলনায় কম ছিল। এবার আটশো জনকে ভোগ বিলি করা হয়। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার বসে ভোগ খাওয়ানোর রীতি বন্ধ রাখা হয়েছে। "
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।