#ভাতার: পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়া ও সেই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনায় আগুনে ঝলসে যান এক বৃদ্ধা। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী থেকে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, নাকি ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। ভাতার থানার ঊষাগ্রামে বুধবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দমকল ও বিদ্যুত দফতরের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল সিল করে নমুনা সংগ্রহ করে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে আপত্তিকর কিছু মেলেনি। অ্যাসবেস্টসের ওপর ঢালাই করা হয়েছিল। তা ভেঙে পড়েই এই ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
ভাতারের ঊষা গ্রামে একটি দুতলা বাড়ির একতলার এক অংশের ছাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আগুনও ধরে যায় বাড়িটিতে। শব্দও পান বাসিন্দারা। এক বৃদ্ধকে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বিস্ফোরণের আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।স্থানীয়রা ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে। কিভাবে বাড়ির মধ্যে আগুন লাগল সে প্রশ্ন ঘুরছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
সঠিক পদ্ধতি মেনে তৈরি না হওয়ায় বাড়িটি একাংশ ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেক। এক তলার ছাদে কোনও রড ছিল না। অনেকের অনুমান এক তলার ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তারে। তা থেকেই আগুন ধরে যায়। অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধার নাম সুমিত্রা কর্মকার। পাশের ঘরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিলেন বৃদ্ধার ছেলে বিপদতারণ কর্মকার। তাঁরা অক্ষত রয়েছেন।
প্রতিবেশী জটায় মাঝি বলেন, "হঠাৎ বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে শুনি আগুন আগুন চিৎকার। ছুটে গিয়ে দেখি পাশের বাড়ি বিপদতারণ কর্মকারের মা অগ্নিদগ্ধ হয়ে গেছেন। কীভাবে আগুন লাগলো, ছাদ কীভাবে ভাঙল কিছুই বুঝতে পারছি না।"
Saradindu Ghosh