দক্ষিণবঙ্গ: হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা ৩০। কিন্তু, রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৫০-র উপরে। কেউ শুয়ে রয়েছেন মেঝের উপরে, কারও কোলে ছোট্ট শিশু। এই ছবি মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটখারাপ, বমিতে অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও সেই একইছবি। আর তার ফলেই ভিড় উপচে পড়ছে হাসপাতালগুলিতে।
ইতিমধ্যেই অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা জেলার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিটি হাসপাতালে এআরআই হেল্প ডেস্ক খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বহাল ভোগান্তির ছবি। হাসপাতালে বেড না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে মাটিতেই বিছানা করে শিশুদের রাখতে হচ্ছে বলে জানালেন রোগীর আত্মীয়েরা।
আরও পড়ুন: কালনাতেও থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, গড়ে ২০টি শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে
রোগীর আত্মীয় রণিত শেখ নামে এক ব্যক্তি বলেন, "জ্বর ও সর্দি নিয়ে আমার ছেলে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই হাসপাতালের বেড না পেলেও ভর্তি করতে হয়েছে।" যশোদা মণ্ডল বলেন, "চারদিন ধরে জ্বর, বমি নিয়ে আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এখন একটু সুস্থ আছে।
তবে জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার অবিনাশ কুমার বলেন, "অ্যাডিনোভাইরাসের গাইডলাইন মেনেই হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের চিকিৎসা চলছে। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি সমস্ত শিশুই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। তবে হাসপাতালে নির্ধারিত বেডের সংখ্যা ৩০টি হওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছু বেড বাড়ানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন: চেনা উপসর্গে ভর করে হানা দিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বলছেন বর্ধমান মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞেরা
সুপার জানিয়েছেন, রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ১২০ থাকলেও প্রায় ১৬০জন শিশু ভর্তি রয়েছে বর্তমানে। জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি, শ্বাসকষ্ট এই সমস্ত উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। এ আর আই -এর জন্য আলাদা করে ঘর খোলা হয়েছে। বহির্বিভাগে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দু'ঘণ্টা করে ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। আগে আউটডোর দুপুর ২টো পর্যন্ত খোলা থাকলেও এখন প্রতিদিন ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করা হয়েছে। বেড বাড়ানোর জন্য উদ্যোগী হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর আত্মীয় ইসমাইল শেখ বলেন, "আমার মেয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। জ্বর সেইসঙ্গে বমি হয়েই যাচ্ছে। চিকিৎসা চলছে। কিন্তু খুব চিন্তায় আছি।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।