#কোচবিহার: বড় ভাইয়ের জমিতে ঢুকে পড়েছিল ছোট ভাইয়ের গরু। বোরো ধান নষ্ট হওয়ায় দুই জা-এর মধ্যে শুরু হয়েছিল বচসা৷ এর পর তা চরম আকার নিলে ছোট জাকে মারতে আসে বড় ভাসুর৷ চেয়ার দিয়ে মারধর করলে আহত হন মহিলা।
এদিকে বড় ভাসুর মারছে দেখে ছোট জাকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন মেজো জা। শেষ পর্যন্ত ভাসুরের হামলায় মৃত্যু হল সেই মেজো জা-এর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিতসকরা৷
আরও পড়ুন- 'ল্যাংচা হাব কেমন চলছে?', জেলাশাসকের জবাবে অবাক মমতা, দিলেন নির্দেশ
বুধবার কোচবিহারের শীতলকুচি গ্রামে ঘটেছে এমনই ঘটনা। শীতলকুচি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত ভাসুর পলাতক। মৃত মহিলার নাম মমতা অধিকারী।
শীতলকুচি গ্রামে হামেশাই এই পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ লেগেই থাকত। মঙ্গলবার বড় ভাইয়ের ধানের জমিতে ছোট ভাইয়ের গরু ছুকে পড়লে ঝগড়া বেঁধে যায়।
দুই জা নিজেদের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি শুরু করে। তখনই বড় ভাসুর চিত্ত অধিকারী ছুটে আসেন৷ লাঠি ও প্লাস্টিক চেয়ার দিয়ে মারধর করেন ছোট জা সোনালী অধিকারীকে। তিনি ছুটে পালান। তখন তাঁকে বাঁচাতে গিয়েভাসুরের হামলার মুখে পড়েন মমতা।
আক্রান্ত ছোট জা সোনালী অধিকারী বলেছেন, বড় ভাসুর তাকে মারধর করে। তিনি হাতে আঘাত পান। এর পর প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান। বাড়ি ফিরে দেখেন উঠোনে পরে আছে মেজো জায়ের নিথর দেহ। তিনি তাঁকে বাঁচাতে এসেছিলেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে ছিলেন মেজো জা। সোনালী জানান, বড় ভাসুর লাঠি দিয়ে মারধর করেছে তাঁর মেজো জাকে। তিনি পালিয়ে গেলে মেজো জায়ের উপরে হামলা হয়।
আরও পড়ুন- কবে থেকে গরমের ছুটি, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে এই ঘটনার পরেই বাড়িছাড়া অভিযুক্ত ভাসুর চিত্ত অধিকারী৷ পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে এই পরিবারের পারিবারিক অশান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবেশীরা। তারাও চাইছেন, অভিযুক্ত চিত্ত অধিকারী গ্রেপ্তার হোক। তা হলে নিত্যদিনের অশান্তি থেকে রেহাই পাবেন প্রতিবেশীরাও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coochbehar, Murder Case