#মুর্শিদাবাদ: পারিবারিক অশান্তির জেরে তিন সন্তান নিয়ে ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা। শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষীক থাকল সাগরদিঘী থানার কাবিলপুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এক শিশু কন্যার দেহ নদীর জলে ভেসে উঠলেও এখনও নিখোঁজ মা-সহ আরও দুই সন্তান। সাগরদীঘি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। নিখোঁজ তিনজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে জটিল হচ্ছে বাম-কংগ্রেসের আসন রফা, ১২ আসনে মুখোমুখি লড়াই
প্রায় ৭ বছর আগে সাগরদিঘী থানার গোপীন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা ওবাইদুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রেবিনা খাতুনের। দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে দম্পতির। ছোট ছেলে মাত্র ১ মাস বয়সের। বাবার বাড়ি কাবিলপুর থেকে তৃতীয় সন্তান হওয়ার পর সপ্তাহ দুয়েক আগে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন রেবিনা।জানা যায়, স্বামী ওবাইদুর রহমান পেশায় রাজমিস্ত্রীর, চেন্নাইয়ে কাজ করে। সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়ি ফিরেছেন । অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে রেবিনাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হত। অভিযোগ, স্বামী ওবাইদুর প্রায় প্রতিদিন মদ খেয়ে তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালাত। শুক্রবার সকালেও শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী মিলে রেবিনাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এর পরই তিন সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছে বলে বেড়িয়ে যান রেবিনা।
আরও পড়ুন:তুষারপাত অব্যাহত, সান্দাকফু-সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনল প্রশাসন
বাপের বাড়ি না গিয়ে কাবিলপুর ফেরীঘাট থেকে কিছুটা দূরে তিন সন্তানকে নিয়েই ভাগীরথী নদীতে ঝাপ দেন রেবিনা খাতুন। এখনও পর্যন্ত শিশুকন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হলেও অন্যদের দেহ মেলেনি। মৃতদেহের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, ফেরীঘাটে নদীর মধ্যে একটি শিশুর দেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছবি তুলে পোস্ট করা হয়। এর পরই পরিবারের লোকজন এসে ওই শিশুকন্যার মৃতদেহ সনাক্ত করেন। মৃতার আত্মীয় আজমাইল শেখের অভিযোগ, '' শ্বশুরবাড়ীতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সকলে মিলে রেবিনাকে মারধর করত। সেই কারণেই দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে রেবিনা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। আমরা চাই পুলিশ এর তদন্ত করে অভিযুক্ত স্বামী-সহ ওঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের গ্রেফতার করুক।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad