#বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় শিশুদের জ্বর ব্যাপক আকার নিয়েছে। জেলাজুড়ে এখন ঘরে ঘরে জ্বর সর্দিতে ভুগছে শিশুরা। তাদের মধ্যে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। ফলে এই করোনা পরিস্থিতিতে শিশুদের নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। অনেকেই দ্রুত শিশুদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন হাসপাতালে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। এই মুহূর্তে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত আড়াইশো শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে চল্লিশটি করে শিশু ভর্তি হচ্ছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বেড দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নতুন ওয়ার্ড খুলেও জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।এক বেডে দুটি শিশুকেও রাখতে হচ্ছে।আক্রান্ত হচ্ছে এক বছরের কম শিশুরাও। জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে তাদের।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভেন্টিলেটর সহ আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।বাড়তি নার্স আনা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসকের সংখ্যাও।
জ্বর সর্দির সঙ্গে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট। উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের।বড়দের থেকেই এই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা- মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।
তাঁদের মতে, প্রতিবছরই ঋতু পরিবর্তনের এই সময় এমন জ্বর হয়। তবে এবার তার প্রভাব বেশি। যেহেতু থার্ড ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি তাই আতংকিত হয়ে উঠছেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: বুথের সামনে EVM, তবে নকল! সামশেরগঞ্জে শোরগোল, যে অভিযোগ উঠছে...
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,এটি একটি সাধারণ ভাইরাল ফিভার। প্রতি বছরই বর্ষা শেষ শরতের শুরুতে শিশুরা এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে এবার যে কোনও কারণেই হোক আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাঁরা বলছেন,করোনার কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। ফলে শিশুদের মধ্যে জ্বর সর্দি দেখা দিলেই অভিভাবকরা তাদের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় নিয়ে যাচ্ছেন। এটা খুবই ভালো দিক। প্রথম অবস্থাতেই শিশুদের চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাচ্ছে। এর ফলে তাদের দ্রুত সুস্থ করে তোলা সম্ভব হচ্ছে। অনেক শিশুকে সকাল থেকে চিকিৎসা করে সন্ধের আগে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
তাঁরা জানিয়েছেন, চোখ লাল হওয়া, চোখ নাক দিয়ে জল পড়ার দিয়ে অসুস্থতা শুরু হচ্ছে। কাশি হচ্ছে।এরপর জ্বর আসছে। দেরি হলে শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। এক বছর বা তার নীচের শিশুরা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তবে সব শিশুর করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সকলেই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। এখনও পর্যন্ত এই জ্বরের কারণে কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।