#বর্ধমান: ছন্দ মেনেই চলছিল প্রশাসনিক বৈঠক। কিন্তু তা যে মন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসকের সম্মুখ সমরে পরিণত হবে, তা আগাম আঁচ করতে পারেননি কেউই।
প্রথমে ধীর লয়েই ঠান্ডা লড়াই চলছিল। শেষে তা একেবারে রাম রাবণের যুদ্ধে পরিণত হল। আর সব শেষে লড়াইয়ে জিতলেন জেলাশাসকই। পূর্ব বর্ধমানের বিডিএ হলে সেই লড়াইয়ের সাক্ষী থাকলেন উপস্থিত বাকিরা।
বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সভাকক্ষে তখন উপস্থিত প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলাসহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- Crime News|| চুরি-ডাকাতি লেগেই রয়েছে, পুলিশি নিরাপত্তার দাবিতে সরব ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয়রাএই অনুষ্ঠানে ১৪ জন লোকশিল্পীকে জিআই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এই জেলার আউশগ্রামের দারিয়াপুরের ডোকরা শিল্প দেশ-বিদেশে বিশেষভাবে সমাদৃত। বাংলার ডোকরা দেড় বছর আগে জিআই পেয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে আসা ডোকরা শিল্পীরা তাঁদের শিল্পের কিছু নিদর্শন দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই ছিল ডোকরার লাঠি। যে লাঠিতে খোদাই করা রয়েছে প্রতিটি রাশি।
তেমনই ছিল দাবা। যেহেতু ডোকরা ধাতুর একটি বিশেষ রং রয়েছে, তাই দাবার কালো এবং সাদা গুটি তা দিয়ে করা সম্ভব নয়। তাই শিল্পী সুভাষ মন্ডল রাম এবং রাবণ সেনার আঙ্গিকে সেই দাবার ঘুঁটি তৈরি করেন।
দাবার বোর্ড সামনে আসতেই তা খেলার প্রস্তাব দেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। প্রতিপক্ষ হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাপধিপতি শম্পা ধারাকে।
শম্পাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। শেষে যুদ্ধটা শুরু হয়ে যায় মন্ত্রী এবং জেলাশাসকের মধ্যে। তবে মন্ত্রীকে বাগে আনতে বিশেষ সময় লাগেনি জেলা শাসকের।
আরও পড়ুন- Independence Day 2022|| সিপাহী বিদ্রোহের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও উজ্জ্বল বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়্যার ময়দানমন্ত্রী থমকেছেন বারে বারে। ভুল চালও দিয়েছেন। মিনিট দশেকের মধ্যেই মন্ত্রীকে হারিয়ে কিস্তিমাত করলেন জেলাশাসক। সব মিলিয়ে বৈঠকের মাঝে কিছুটা হালকা চালে সময় কাটানো। তা দেখে খুশি শিল্পী সুভাষ পালও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Bardhaman news